Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লড়াইয়ের মানসিকতা চাইলেন মাশরাফি

পরিকল্পনা কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ সাব্বিরের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

টানা দুই ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে হারলেই হোয়াইটওয়াশ। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৩৩ বল বাকি থাকতে, এবার জিতেছে ৮৩ বল হাতে রেখে। তাই নুন্যতম একটি ম্যাচে জিতে সম্মান রক্ষা করতে চান মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মনে করেন, নিউজিল্যান্ডে স্বাগতিকদের সঙ্গে লড়াই করতে অন্তত ২৭০-২৮০ রানের পুঁজি প্রয়োজন।
টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। দুই ম্যাচেই তিনি উপহার দেন শতরানের জুটি। সেখানে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়তেই সংগ্রাম করতে হচ্ছে বাংলাদেশের। ক্রাইস্টচার্চে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বড় জুটি গড়তে না পারার আক্ষেপ ঝরল বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘হ্যাঁ, এটা ছিল কঠিন একটি দিন। আমরা শুরুতে উইকেট হারিয়েছি। তেমন বড় কোনো জুটি গড়তে পারিনি। ৩০ রানের জুটি গড়েছি সেগুলো ৬০ বা ৭০ রানের হলে ম্যাচটা হয়তো অন্যরকম হতে পারতো।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি পেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। বোলিংয়ে ভালো করেছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। মাশরাফির কাছে হ্যাগলি ওভালে সফরকারীদের প্রাপ্তি এতোটুকুই, ‘এই ম্যাচ থেকে নেওয়ার মতো আমাদের ইতিবাচক খুব বেশি কিছু নেই। দল হিসেবে আমাদের খেলতে হবে। আমরা এখানে ২২০-২৩০ রান করছি, লড়াই করতে হলে অন্তত ২৭০-২৮০ রান করতে হবে।’
আগামী বুধবার ডানেডিনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডে হোয়াইটওয়াশড হওয়া এড়ানোর লক্ষ্যে সতীর্থদের মাঠে নামার আহ্বান জানালেন অধিনায়ক, ‘আশা করি আমরা এ থেকে বের হয়ে আসতে পারব এবং আমাদের সেরাটা দিতে পারব। এখনও একটি ম্যাচ বাকী রয়েছে।’
তবে সত্যিই কি এখানে ব্যাট করা অসাধ্য ছিল? সেটি যে নয়, তা করে দেখিয়েছেন গাপটিল। বাংলাদেশ দলেও আছে প্রমাণ, মিঠুন, সাইফউদ্দিন আর সাব্বির। দলের প্রতিনিধি হয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলেন এসে নিষেধাজ্ঞা কাটানো এই অলরাউন্ডারও শুরুতে বলে নিলেন, ‘কোনো সমস্যা নেই।’ পরে অবশ্য ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় বারবার পরিকল্পনা কাজে লাগাতে না পারার কথাই বললেন সাব্বির, ‘আমি তো কোনো সমস্যা দেখছি না। ওরা ভালো বোলিং করেছে। আমরা কিছু শট ভুল খেলেছি, এ কারণে আউট হয়ে গেছি তাড়াতাড়ি। আশা করি এটার পুনরাবৃত্তি হবে না। পরের ম্যাচ থেকে আশা করি ভালো করব।’
বিপিএল খেলেই খেলোয়াড়দের উড়াল দিতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডে। কন্ডিশনের সঙ্গে এখনো মানিয়ে নিতে পারেননি, সেটিও বলছেন না সাব্বির। বাংলাদেশ দলের এ লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পরিকল্পনা কাজে না লাগানোর কথাটাই বড় করে দেখছেন, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছি না, ঠিক তা না। সবই ঠিক আছে। পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারছি না। যদি কাজে লাগাতে পারি সামনে ভালো ক্রিকেট খেলব। পরের ম্যাচে ধবলধোলাই ঠেকিয়ে চেষ্টা করব ব্যবধানটা ২-১ করতে।’
সাব্বির বলছেন, পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারছেন না। কিন্তু কেন কাজে লাগাতে পারছেন না সেটির ব্যাখ্যা তাঁর জানা নেই, ‘প্রতিটি ম্যাচ আমরা চেষ্টা করি জিততে। সেটি দেশে হোক কিংবা দেশের বাইরে। আমরা যে পরিকল্পনায় খেলছি, সেটা এ, বি যেটাই হোক কাজে লাগাতে পারছি না। ম্যাচে কেন যেন হচ্ছে না। আমাদের বসতে হবে। ঠিক করতে হবে ভুলটা কোথায় হচ্ছে। প্ল্যান এ, বি যেটাই হোক আমরা চেষ্টা করব অনুশীলনে ঠিক করে ফেলতে।’
কিন্তু কথা হলো, পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলে কি আর ঝালিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকে?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ