Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাউজানে ওসির জেরার মুখে গৃহবধু স্বীকার করল, অপহরন কিংবা জ্বিনে নেয়নি, স্বেচ্ছায় গেছি!

রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:৪৫ পিএম

রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আদমশাহর বাড়ীর জাফরের স্ত্রীকে অপহরন কিংবা জ্বিন ভূত কেও নিয়ে যায়নি। বরং নিজেই একজন পরপুরুষের সাথে চলে গিয়েছিল। শুক্রবার রাউজান থানায় রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ওসি কেপায়েত উল্লাহর জেরার মুখে আসল রহস্য বের হয়ে আসে। বিকাল থেকে এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে জানাজানি হতে থাকে জ্বিনে নিয়ে যাওয়া গৃহবধু এখন থানায়? চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা নিয়ে উৎসুক জনতার ঘটনার রহস্য জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। রাত ৮টা থেকে শুরু হয় ওসি কেপায়েত উল্লাহর তথ্য উদঘাটন।
প্রথমে গৃহবধু জানালেন আমাকে ৩/৪জন পুরুষ অপহরন করেছে,আমি তাদের চিনতে পারিনি। ওসি গৃহবধুর কথা মানতে নারাজ। ওসি বলেন আসল ঘটনাই বলতে হবে, কি হয়েছিল সেদিন রাতে। মিথ্যা কথা বলে লাভ নেই। ওসির নরম-গরম কথায় দীর্ঘ ৩ ঘন্টার চেষ্টায় আসল ঘটনা বলতে থাকে গৃহবধু। সে জানায় ফটিকছড়ির বক্তপুরের তার খালাত বোন (বিবাহিতা) ঝর্না আকতারের প্ররোচনা ও পরামর্শে আমি আবুল কালাম নামের এক সিএনজি অটো ড্রাইভারের সাথে সেদিন নানুপুরে চলে যায়। আমাকে কেও অপহরন করেনি কিংবা জ্বিনেও নেয়নি।
জানাগেছে জাফরের সাথে এফএয়ারের বিবাহের সময় ঝর্না আকতার সবকিছু করছিল। ঝর্না আবার চেয়েছিল জাফর থেকে বাগিয়ে নিয়ে আবুল কালাম নামের সিএনজি অটোরিক্সার ড্রাইভারকে বিবাহ দেবে। গত ১৫ দিন আগে গৃহবধু খালাত বোন ঝর্নার বাড়ীতে ২৮ দিন থেকে আসছিল। সেসময় গৃহবধুর সাথে কালামকে বিবাহ দেওয়ার পরিকল্পনা করে ঝর্না আকতার। তার স্বামী থাকে বিদেশে। ঝর্নার সাথে গভীর যোগাযোগ রয়েছে আবুল কালামের। সে পরিকল্পনা অনুুাযয়ি ১৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাতে পালিয়ে যায় কালামের সাথে। জাফরের ৬ বছরের একটি ছেলের কথা চিন্তা করে ওসি ও উপস্থিত সকলেই চিন্তিত হয়ে পড়ে। থানা থেকে ঝর্নার সাথে ফোনে যোগাযোগ হলে গৃহবধু আর ঝর্নার তর্কাতর্কি হয়। চোখেমুখে অন্ধকারাছন্ন গৃহবধু বলেন ঝর্না তুই যে ছেলেটির সাথে আমাকে যেতে বলেছিস ওর নাম কি? পতিত্তোরে ঝর্না বলেন আমি কি করে জানব তুই কার সাথে গেছিস!। এ নিয়ে দুজনের সাথে প্রচন্ড বাড়াবাড়ী হয়। এতে বেড়িয়ে আসে আসল রহস্য। সহজ সরল গৃহবধুকে ফাঁসানোর জন্য এসব নাটক করেছে ঝর্না নিজেই। মূলহোতা ঝর্না আকতারকে আইনের আওতায় আনার দাবী উঠেছে উপস্থিত বৈঠকে। পরে সামাজিক বৈঠকে উভয় সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্বিদ্ধান্ত নিয়ে করণীয় ঠিক করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সামাজিক বৈঠক নাহওয়া পর্যন্ত গৃহবধুকে মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এস আই মেহের পুরো ঘটনাটি তদন্ত করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারী রাতে জাফরের স্ত্রী গৃহবধু রাজিয়া সুলতানা রুপা (২৪) রহস্যজনকভাবে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। সেদিন জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘরের পিছনের নলকূপ থেকে পানি আনতে চার্জলাইট ও জগ নিয়ে বাইরে বের হন গৃহবধু রুপা। শ্বাশুরী অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পাওয়ায় বের হয়ে দেখেন বাইরে জগ ও চার্জলাইট পরে আছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী রাত পর্যন্ত স্থানীয়দের ধারণা ছিল লাঠিছড়ি খাল পুনঃখনন করায় এ খালটির জ্বীন, ভূত তাকে তুলে নিয়ে গেছে গৃহবধু রুপাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রেমের সম্পর্কে ফটিকছড়ি উপজেলার সমিতিরহাট এলাকার মৃত নজরুল ইসলাম মাস্টারের কন্যার সাথে রাউজান উপজেলার হলাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আদম শাহ বাড়ির মো. জাফরের আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয়।

 



 

Show all comments
  • সামী ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    good news...
    Total Reply(0) Reply
  • সামী ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    good news...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ