পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বাংলাদেশ পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে’ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি এ বিষয়টি বিস্তারিত জানি না। তবে সম্ভবন রাশেদ খান মেনন ক্ষোভ থেকে এ কথা বলেছেন। আমি বিস্তারিত জেনে এরপর তা জানাব।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিন এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার চৌদ্দ দলের বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যদি বিরোধী দল হতেই হয় তাহলে চৌদ্দ দল আর রাখার দরকার নাই। এ সময় তার বক্তব্যকে সমর্থন করেন গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদারসহ আরও কয়েকজন।
এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসার বিষয়ে হাসানুল হক ইনু অপারগতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা ১৪ দলের এমপি, আমরা বিরোধী দলের আসনে বসতে পারি না। ১৪ দল থাকলে তো আমাদের সরকারি দলের বেঞ্চেই বসার কথা। বিরোধী দলে বসলে ১৪ দল কেন? আমরা সরকারি দলে নাকি বিরোধী দলে, আমাদের অবস্থানটা কোথায়- সেটি স্পষ্ট হওয়া দরকার।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ১৪ দলে থাকা ছোটবড় সবাইকে মূল্যায়ন করা দরকার। অনেক দল থেকে এমপি হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কয়েকটি দল থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলো কিছুই পায়নি। তাদের মূল্যায়ন হওয়া দরকার।
শরিক দল বাংলাদেশ জাসদ (আম্বিয়া) সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়ার দেয়া সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনাও করেন কয়েকজন নেতা। তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ১৪ দলের শরিক হয়েও সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের টকশোতে শরীফ নূরুল আম্বিয়া নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে কি না, তা নিয়েও তিনি (আম্বিয়া) সংশয় প্রকাশ করেছেন। এতে মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একধরনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তার (বশর) বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম ও জাসদের আরেক অংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। বৈঠকে শরীফ নূরুল আম্বিয়া না থাকায় তার পক্ষে এর জবাবে জাসদ (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, এটা হয়তো তিনি বলে ফেলেছেন। কিন্তু আমরা ১৪ দলের সঙ্গেই আছি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির গণশুনানী গণতামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, বিএনপির গণশুনানীর গণতামাশা, যার প্রধান বিচারপতি হিসেবে ড. কামাল হোসেনের নাম উচ্চারিত হয়। তখন তা আর গণশুনানী থাকে না, সেটা গণতামাশা হয়।
তিনি বলেন, কোন দল যখন নির্বাচন ও আন্দোলনে পরাজিত হয়, তখন তাদের সামনে নালিশ আর মামলা ছাড়া অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আর কোন পথ থাকে না। বিএনপিও এ দু’টি পথ অবলম্বন করে তাদের হতাশ নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেগুলো করেও যখন তারা ব্যর্থ হবে তখন কান্নাকাটি শুরু করবে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই। তার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। বিএনপির বেগম খালেদা জিয়াকে হয় আইনি লড়াই, না হয় আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, বিএনপি মামলা করলে তা আমরা মোকাবেলা করব। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, অক্টোবরের ২৩ তারিখে আমাদের সবশেষ সম্মেলন হয়েছিল, আমরা ফের অক্টোবরেই জাতীয় সম্মেলন করার চিন্তা করছি।প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন বদলানোর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যাঁদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনের নামে অভিযোগ আসায় সেসব ক্ষেত্রে মনোনয়নে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট কবে নাগাদ প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। আমরা এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি সভা করেছি। সহসাই আরো একটি সভা করব। বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। ইলেকট্রনিক মিডিয়াকেও ওয়েজবোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।