Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সড়ক থেকে খুঁটি সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

রাস্তার মাঝখানে খুঁটি দাঁড় করিয়ে রাখবেন, এটা হতে পারে না-আইনজীবী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা বৈদ্যুতিক পোলসহ সব ধরনের খুঁটি ৬০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।একইসঙ্গে বিপজ্জনক এসব খুঁটি অপসারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। 

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আপনি একদিকে রোড সেফটির কথা বলবেন, অন্যদিকে রাস্তার মাঝখানে খুঁটি দাঁড় করিয়ে রাখবেন, এটা হতে পারে না। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যখন সড়ক মহাসড়কে খুঁটি রেখে দেন, তখন সাধারণ মানুষ বিপদের মুখোমুখি হয়। এসব বিষয় নিয়ে তারা আদালতে হাজির হয়। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে দ্রুত এসব বিপজ্জনক খুঁটি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে দ্রুত সময় বলতে কোনোভাবেই তা ৬০ দিনের বেশি যেন না হয়, তাও বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সড়ক-মহাসড়কে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ সব ধরনের বিপজ্জনক খুঁটি চিহ্নিত করে অপসারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আদেশ বাস্তবায়নে বিবাদীদের সহযোগিতা করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন বাড়ি ফেরার পথে নরসিংদীর শিবপুরে সড়কের মধ্যে খুঁটি দেখতে পান। এ সময় তিনি সেখানে নেমে ওই খুঁটির বিষয়টি তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এরপরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই খুঁটি অসারণ করে ফেলে। কিন্তু এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সড়কের মধ্যে খুঁটি সংবলিত অসংখ্য ছবি ও তথ্য পাঠায় তার ম্যাসেঞ্জারে। পরে বিষয়টি নিয়ে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ