Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আয়াক্সের মাঠে রিয়ালের কষ্টের জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৫৫ এএম

শক্তি-সামর্থ্যে দুদলের মধ্যে পার্থক্যটা অনেক। তবে ম্যাচে তার প্রতিফলন ছিল সামান্যই। উল্টো ম্যাচের শুরু থেকে রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ করে গেল আয়াক্স। তবে লক্ষ্য পূরণে ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের যে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি মুহূর্তই যথেষ্ট সেটা প্রমাণ করেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আমস্টার্ডাম থেকে দারুণ এক জয় নিয়ে ফিরেছে সান্তিয়াগো সোলারির দল। অন্যদিকে ম্যাচ জুড়ে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েও ভালো ফিনিশারের অভাবে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।

ইয়োহান ক্রইফ স্টেডিয়ামে ২-১ ব্যবধানের জয়ে রিয়ালের গোল দুটি করেন করিম বেনজেমা ও বদলি নামা মার্কো অ্যাসানসিও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সিদ্ধান্ত যায় আয়াক্সের বিপক্ষে। ভগ্নাংশেরও ক্ষুদ্রতম সময়ের ব্যবধানে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর গোল।

ঘরের মাঠে শুরু থেকেই রিয়ালের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে আয়াক্স। তবে আক্রমণগুলোর শেষটা ছিল অগোছালো। পক্ষান্তরে এলোমেলো ফুটবলে রিয়াল ভক্তদের হতাশ করেন বেল-বেনজেমা-মদরিচরা। এরই মাঝে যদিও গোলমুখে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি শট নেয় রিয়ালই।

বেলের দুর্বল শট ও ভিনিসিউসের প্রচেষ্টা লাফিয়ে কয়েকবার প্রতিহত করেন আয়াক্স গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। তবে রিয়ালের ভুল পাসিং ফুটবলের সুযোগ নিয়ে গোলের প্রথম সহজ সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকরাই। ২৭তম মিনিটে দুশান তাদিচের শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৩৬তম মিনিটে রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি হাকিম জিয়াচ।

দুই মিনিট পর জালে বল পাঠায় আয়াক্স। কিন্তু কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বল ডি বক্সে জটলার মধ্য থেকে তাগলিয়াফিকোর হেড ভিএআরের সহায়তায় তাদিসের অফসাইডের কারণে বাতিল করেন রেফারি। প্রথমার্ধ দারুণ খেলেও গোল না প্ওায়ার হতাশা নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে করিম বেনজেমার শট ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন ওনানা।

পাল্টা আক্রমণে দাভিদ নেরেচের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান কোর্তোয়া। ৬০তম মিনিটে রিয়াল বুঝিয়ে দেয় কেন তারা টুর্নামেন্টের টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। বাঁ প্রান্ত থেকে ভিনিসিউস দারুণ দক্ষতায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ডান প্রান্তে অবস্থান নেয়া বেনজেমাকে এগিয়ে দেন। বল জালে পাঠাতে কোন ভুল করেননি ফরাসি স্ট্রাইকার।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় বেনজেমার এটি ৬০তম গোল। তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল রাউল গঞ্জালেজ (৭১), লিওনেল মেসি (১০৬) ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর (১২১)।

৭৬তম মিনিটে অবশেষে প্রত্যাশিত জালের দেখা পেয়ে যায় আয়াক্স। বাম প্রান্ত থেকে নেরেসের ভয়ঙ্কর ক্রস প্লেসিং শটে জালে পাঠান হাকিম। চার মিনিট পর বেনজেমার বদলি মার্কো অ্যাসেনসিওর শট অল্পের জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়।

নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে বার্নাব্যুর দলের হয়ে জয়সুচক গোলটি করেন অ্যাসেননিও। বাম প্রান্ত থেকে দানি কারবাহালের ক্রস প্লেসিং শটে জালে পাঠান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

যোগ করা সময়ে হলুদ কার্ড দেখেন সার্জিও রামোস। ৫ মার্চ ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে খেলতে পারবেন না রিয়াল অধিনায়ক।

ওদিকে একই সময়ে ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠেয় আসরের অন্য ম্যাচে সফরকারী বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে টটেনহাম হটস্পার। স্পার্সদের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন সন হিউন মিন, ইয়ান ভার্টোনেন ও ফার্নান্ডো লরেন্তে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ