পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুড়িগঙ্গা নদীর জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। অবৈধভাবে দখল করা জমির ওপর তিনি তিনতলা বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। গতকাল বিআইডবিউটিএ দুদকের আইনজীবী কাজলের সেই অবৈধ স্থাপনা তিনতলা ভবন উচ্ছেদ করেছে। নিজে অবৈধ দখলদার অথচ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার তিনি আইনজীবী। এ যেন শর্ষের ভিতরে ভূত!
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় বুধবার কামরাঙ্গীরচরের ঝাউচরে কাজলের এই স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। একই সঙ্গে বুড়িগঙ্গা পাড়ে বহুতল ভবনসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার হওয়ায় জায়গায় ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন সচিব।
বুড়িগঙ্গা নদী দখলমুক্ত করতে তৃতীয় দফা উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে কামরাঙ্গীচর এলাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায় বিআইডবিউটিএ। এসময় নবাবের চরে নদীর জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা বহুতল ভবনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযান পরিদর্শনে এসে নৌ পরিবহন সচিব জানান, উচ্ছেদ করা জায়গা পরিষ্কার কোরে শিগগিরই ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
নবাবের চরে উচ্ছেদ শেষে ঝাউচরে অভিযান চালায় বিআইডবিউটিএ। সেখানেও নদীর জায়গায় গড়ে তোলা একটি বহুতল ভবনসহ বহু স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। তিন দফা অভিযানে আবাসিক ভবন, কারখানাসহ এ পর্যন্ত দেয় দেড় হাজার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিআইডবিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযানকালে পাকা ভবন ১৭টি যার মধ্যে দোতলা ১১টি ও এক তলা ৬টি ভবন উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া আধাপাকা ৩০টি ও টিনশেড ঘর ২২টি ও ৫৫টি টং ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুদক আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের স্ত্রীর ভবন ভাঙতে গেলে তারা কাগজপত্র দেখিয়ে ভবনের জায়গার বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করেন। তার দাবি ভবনের জমিটি কাজলের স্ত্রী পৈত্রিকসূত্রে পেয়েছেন। পরবর্তীতে সেখানে তিনি তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। তবে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ও ঢাকা নদী বন্দরের উপ পরিচালক কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, নদী ভরাট করেই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। সুতারং এটি অবৈধ স্থাপনা। বিআইডব্লিউটির কর্মকর্তারা জানান, নদী দখলমুক্ত করতে ক্রাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তারা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।