পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন ও তৌহিদী জনতার বিক্ষোভের মুখে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের পূর্ব ঘোষিত বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার আহমদনগরে ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি এই জলসা আয়োজনের কথা ছিল।
এদিকে জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা জেলা শহর ও আহমদনগরে তান্ডব চালিয়েছে। কাদিয়ানী বিরোধী হাজার হাজার মানুষ মঙ্গলবার রাত ৯টার পর থেকে ঘন্টাব্যাপী আহমদনগর এলাকার আহমদিয়া মুসলিম জামাতের লোকজনদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশত আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাত সোয়া ১১ টার দিকে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ গোলাম আজম পঞ্চগড় বাজার জামে মসজিদের মাইকে জেলা প্রশাসন কর্তৃক জলসা অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বানসহ কারো প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর থেকে বিক্ষুব্ধ লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
আহমদনগর মুসলিম জামাতের প্রেসিডেন্ট তাহের যুগল দাবি করে বলেন, আমাদের ৪০ জনের মত লোক আহত হয়েছে। ব্যাপক ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করা হয়। এ ব্যাপারে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পঞ্চগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু আক্কাস আহমদ জানান, রাতে জেলা প্রশাসন জলসা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তার আগেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লী ও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই পুলিশ ৫১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১৭ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এহেতেশাম রেজাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।