শুধু তাই নয়, এর আগে কখনোই ঘরের মাঠে কোনো ফরাসী ক্লাবের কাছে হারেনি ম্যানইউ। এমনকি পিএসজিরও ইংল্যান্ডে মাত্র একবার জয়ের রেকর্ড রয়েছে। এদিন শুরুটাও বাজে করেছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় নিয়েই দেশে ফিরছে ফরাসী ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মঙ্গলবার রাতে ২-০ গোলে জিতে পিএসজি। প্রেসনেল কিম্পেম্বের গোলে প্যারিসের ক্লাবটি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপে।
প্রথমবারের মতো মুখোমুখি লড়াইয়ে নামা দুদলের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। তবে এদিন দারুণ খেলে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ৫৩তম মিনিটে ডি মারিয়ার নেওয়া ওই কর্নারেই কাছ থেকে বাঁ পায়ের টোকায় পিএসজিকে এগিয়ে নেন ফরাসি ডিফেন্ডার কিম্পেম্বে। ৬০তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে সেই মারিয়ার ক্রস ছোট ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে প্লেসিং শটে বল ঠিকানায় পাঠান এমবাপে।
আগামী ৬ মার্চ ফিরতি পর্বে পিএসজির মাঠে পল পগবাকে ছাড়াই খেলতে যাবে ইউনাইটেড। ম্যাচের শেষ দিকে দানি আলভেসকে অহেতুক ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার। তাতে পিএসজির মাঠে জয় নিয়ে ফিরে আসার স্বপ্নে শুরুতেই ধাক্কা খেল ইংলিশ ক্লাবটি। অথচ হোসে মরিনহোকে ছাঁটাইয়ের পর নতুন কোচ ওলে গানার সুলশারের অধীনে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি। ১১ ম্যাচের ১০টিতে জয়, অপরটি ড্র। আর গত দুই আসরে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়া পিএসজির সামনে এখন শেষ আটে ওঠার হাতছানি।
একই সময়ে হওয়া শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে অন্য ম্যাচে এফসি রোমা নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে পর্তুগালের দল এফসি পোর্তোকে হারিয়েছে। ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে দুটি গোলই করেছেন টিনএজার নিকোলো জানিওলো।