পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর কাজির দেউড়িতে ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের’ নামফলক থেকে জিয়ার নাম কালি দিয়ে মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগ। মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তরের প্রস্তাব দেয়ার একদিনের মধ্যেই এই দাবিতে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ। গতকাল মঙ্গলবার ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ছাত্র ফোরাম’ সংগঠনের ব্যানারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাদুঘরের অদূরে মানববন্ধন করেন। এতে সংহতি জানিয়ে যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধাও।
জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তরের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তাতে নীতিগত সমর্থন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রলীগের নেতারা। মানববন্ধন শেষে মোজাফফর আহমেদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাদুঘরের নামফলকের একাংশে ‘জিয়ার’ নামের উপর কালি লাগিয়ে দেন। ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আব্দুর রহিম শামীমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস ও হেলাল উদ্দিন, প্রশান্ত সিংহ, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি একরামুল হক রাসেল, নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাহুল দাশ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সফরে এসে সার্কিট হাউজের চার নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন তৎকালীন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ভোরের দিকে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। ওই বছরের ৩ জুন সার্কিট হাউসকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরের জন্য সরকারি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর ১৯৯১ সালে জিয়াউর রহমানের পত্মী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। ১৯৯৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এটি জিয়া স্মৃতি জাদুঘর নামে উদ্বোধন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।