বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কবি আবদুর রশিদ খান গত ১ ফেব্রæয়ারি শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ম্যানচেস্টার মেমোরিয়াল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। ২ ফেব্রæয়ারি শনিবার বাদ জোহর ম্যানচেস্টার বায়তুল মামুর মসজিদে জানাযা নামাজ শেষে হনফিল্ড মুসলিম কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। তিনি একমাত্র পুত্র, তিন কন্যা, নাতি-নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রহী রেখে যান। বিগত কয়েক বছর যাবৎ তিনি কানেকটিকাট প্রবাসী একমাত্র পুত্র মুনিম খানের বাসায় বসবাস করছিলেন। পঞ্চাশের দশকের অন্যতম প্রধান এই কবি ১৯৭৭ সালে সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। কবি আবদুর রশিদ খান ১ জানুয়ারি ১৯২৪ সালে চাঁদপুর জেলার পশ্চিম জাফরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে অনার্সসহ এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। চাকরি জীবনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, ঢাকা কলেজে অধ্যাপনা এবং বাংলাদেশ সরকারের বাংলা অনুবাদক ও প্রকাশনা রেজিস্ট্রার ও বাংলাদেশ প্রকাশনা নিবন্ধন পরিদপ্তর পরিচালনা ও অনুবাদক ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, নতুন কবিতা (১৯৫০ ড. আশরাফ সিদ্দিকীর সাথে যৌথ সম্পাদনা), নক্ষতা: মানুষ ও সন (১৯৫২), বন্দী মুহুর্ত (১৯৫৯), প্রেমের কবিতা (১৯৫৯, সম্পাদনা), মহুয়া (১৯৬৫), বিসৃত প্রহর (১৯৬৮), অনির্দিষ্ট স্বদেশ (১৯৭০), সমস্ত প্রশংসা তাঁর (১৯৮০), তিমির হনন (১৯৮৮), অলৌকিক এক দ্বীপ (১৯৯১), আল আমীন (কিশোর কাব্য-১৯৯১)। এছাড়া তাঁর অপ্রকাশিত কাব্য গ্রন্থের সংখ্যা মোট আটটি। সাহিত্য কর্মের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার ছাড়াও বাংলা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৯১), কায়কোবাদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯২), দেওয়ান আবদুল হামিদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯২) এবং ফররুখ গবেষণা পুরস্কার লাভ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।