বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় অন্য চিকিৎসকের নাম সনদ ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদান করায় এক ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাবনার জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার একটি ক্লিনিকে ঐ ভূয়া চিকিৎসক দীর্ঘযাবৎ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। সোমবার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ভূয়া চিকিৎসক সৈয়দপুরের হাতিখানা গ্রামের শেখ মোঃ আব্দুল হান্নানের পুত্র মাসুদ রানা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) গৌতম কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানা দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ধরে পাবনার ভাঙ্গুড়া হেলথ কেয়ার নামের একটি ক্লিনিকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে কর্মরত থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আস ছিলেন। তিনি ঢাকার ডা: মাসুদ করিম এর নাম, বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রকৃত ডা: মাসুদ করিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে নীলফামারী জেলা পুলিশের সহায়তায় সৈয়দপুর থেকে মাসুদ করিম নামধারী ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে পাবনায় আনা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, প্রকৃত চিকিৎসক মাসুদ করিম ১৯৯০-৯১ সেশনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এমবিবিএস শেষ করে নিবন্ধন পান বিএমডিসির, যার নিবন্ধন নং ৩৩৩৬০। বর্তমানে ঢাকার খিলগাঁওয়ে নিজস্ব ডক্টরস চেম্বারে প্রাইভেট চিকিৎসা প্রদান করছেন। স্থায়ী ঠিকানা ফেনীর সোনাগাজী। বাবার নাম আব্দুস শাকুর। সম্প্রতি মাসুদ করিম নামধারী ভূয়া চিকিৎসকের একটি ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন প্রকৃত চিকিৎসক মাসুদ করিমের বন্ধু মাহবুব উল কাদির। পরে চিকিৎসক বন্ধুদের সহায়তায় বিষয়টি জানতে পেরে পাবনায় আসেন প্রকৃত ডা. মাসুদ করিম। এমন প্রতারণায় তিনি বিস্মিত হন। বিষয়টি তার নিকট খুবই অপমানজক হওয়ায় তিনি এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখায় এবং পাবনা সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগ দেন ।ঘটনা জানাজানি হওয়ায় গা ঢাকা দেন কথিত ভূয়া চিকিৎসক মাসুদ করিম। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএ পাবনা শাখার আজীবন সদস্যও ছিলেন। বিষয়টি জানা জানি হওয়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে প্রকৃত ডা: মাসুদ করিম জেলা সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। জানা গেছে,
ভাঙ্গুড়ার হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে চাকুরী করার আগে পাবনা শহরে দীর্ঘদিন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে তিনি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।