Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহিষখলা স্মৃতিসৌধের সীমানা প্রাচীর ও নদীর ঘাট নির্মাণের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:২৮ পিএম

সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডা (উঃ) ইউনিয়নের অন্তর্গত মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টর এর অধীন ১নং সাব সেক্টর মহিষখলা স্মৃতিসৌধের সীমানা প্রাচীর ও নদীর ঘাট নির্মাণ করে স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা রক্ষা এবং তা যথাযথ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারী ভাবে একজন লোক নিয়োগের দাবীতে জেলা প্রাশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছে ১নং সাব সেক্টরের ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা।
লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালের পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডা (উঃ) ইউনিয়নের অন্তর্গত মহিষখলায় একটি ফরেস্ট অফিস ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের অধীন ১নং সাব সেক্টরের আওতায় মহিষখলায় তৎকালীন ৫ জন সংসদ সদস্য সহ মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য সংগঠকগন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে তাদেরকে ভারতের তুরা প্রশিক্ষণ সেন্টারে প্রেরণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে এখান থেকে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রেরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মহিষখলা সাব সেক্টরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবী জানালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করেন। বর্তমানে স্মৃতিসৌধের চারপাশে সীমানা প্রাচীর না থাকায় এবং লোকবলের অভাবে তা যথাযত সংরক্ষণ করতে না পারায় বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন কাজে স্মৃতিসৌধটি ব্যবহার করায় একদিকে এর পবিত্রতা বিনষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে পাহাড়ী ঢল ও নদী ভাঙ্গণের কবলে পড়ে যে কোন সময় তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই মুক্তিযোদ্ধাগন অবিলম্বে স্মৃতিসৌধটির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং নদীর পাড় পাঁকা করণসহ তা যথাযত সংরক্ষনের জন্য সরকারী ভাবে একজন লোক নিয়োগের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিত আবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, স্মৃতিসৌধটি রক্ষনাবেক্ষনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা রক্ষায় প্রকল্প তৈরী করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হবে। মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদন পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ