পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইয়াবার বাহনে পরিণত হয়েছে এবার পিকনিক বাস! যশোর থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার সৈকতে ‘বেড়াতে’ গিয়ে ফেরার পথে বাসে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবার চালান ধরা পড়ে। গতকাল শনিবার ভোরে কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে গিয়ে ফেরার পথে একটি পিকনিক বাসে তল্লাশি চালিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব ২ লাখ ৪০ হাজার পিস সর্বনাশা নেশার বড়ি ইয়াবা উদ্ধার করেছে। আটক হয়েছে ৬ জন। র্যাবের হাতে আটক হওয়া ইয়াবার চালানটি চলতি বছরে এ যাবৎ সর্ববৃহৎ চালান।
জানা গেছে, যশোর থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে গোপনে ইয়াবার উক্ত বিরাট চালান নিয়ে বাসটি চট্টগ্রাম হয়ে ফের যশোরে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর কাছে পিকনিকের বাসটি তল্লাশি করা হয়। এ সময় আটক হন ৬ ব্যক্তি প্রায় আড়াই লাখ পিস ইয়াবাসহ। বাসের লাগেজ বক্সে কৌশলে টিন দিয়ে আটকে থরে থরে ইয়াবা বড়িগুলো রাখা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছেন মো. আতিয়ার রহমান, মো. মাসুদ রানা, মো. বাবলু, মো. ইকবাল হোসেন, মো. জুয়েল ও মো. আমিনুর রহমান সুমন। তাদের বাড়ি যশোর, রাজশাহী ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এ ব্যাপারে গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম। তিনি জানান, যশোর থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে ফিরতি পথে বাসের ভেতরে মালপত্র রাখার জায়গায় কৌশলে লুকিয়ে ইয়াবা আনা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহ আমানত সেতুর উপরেই বাসটি আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় বাসে ২ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। তিনি জানান, আটক আতিয়ার রহমান, মাসুদ রানা, বাবলু ও ইকবাল হোসেন ইয়াবার চালানটির মালিক। আতিয়ার রহমান বাসটির মালিক। তার উদ্যোগেই কক্সবাজারে ‘আনন্দ ভ্রমণের’ আয়োজন করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি ৪০ জন যাত্রীসহ বাসটি যশোর থেকে কক্সবাজার যায়। বাসের আরোহী পরস্পর আত্মীয় ও বন্ধু। যদিও সবাই ইয়াবা আনার সাথে জড়িত নয়, ৬ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তারা র্যাবের কাছে তা স্বীকারও করেছে।
উক্ত র্যাব কর্মকর্তা জানান, বাসটি কক্সবাজার যাওয়ার পর সেখান থেকে যায় টেকনাফে। বাসযাত্রীরা সেন্টমার্টিন ঘুরে আসেন। কিন্তু টেকনাফে বাসেই থেকে যান আতিয়ার রহমান, মাসুদ রানা, বাবলু, ইকবাল হোসেন, বাসচালক জুয়েল ও আমিনুর রহমান সুমন। তারা বাসের ভেতরে মালামাল রাখার বক্সে কৌশলে উক্ত নেশার বড়ি ইয়াবা থরে থরে মজুদ করে রাখেন। চালানটি ঠিকঠাক মতো যদি পার করা যেত তাহলে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও যশোরে তাদের বাহকদের কাছে হাত বদলের পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল।
প্রেস ব্রিফিংকালে র্যাব-৭ চান্দগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, মিডিয়া অফিসার এএসপি মো. মাশকুর রহমান, এএসপি কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।