Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সামাজিক বনায়নের কাঠ পুড়ছে ইটভাটায়

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ছোট ছোট চারাগাছ কেটে ফেলার দরুন পটিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলের সামাজিক বনায়ন ধ্বংসের পথে। এক শ্রেণির অসাধু মুনাফাখোর কাঠ ব্যবসায়ী সামাজিক বনায়নের কাঠ কেটে বিক্রিসহ অধিকাংশ কাঠ ইট ভাটায় পাচার করছে। ফলে লাখ লাখ টন কাঠ ইট ভাটায় পুড়ছে। পটিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে খতিয়ানভূক্ত টিলা ও সংরক্ষিত বনভূমিতে আকাশমনি, বেলজিয়াম, মেহগনি, কড়ই, গামারী, চিপরাশী, গুটিয়া, চাপালিশসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করা হয়। সাম্প্রতিক কয়েক বছর ধরে অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীরা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সামাজিক বনায়নের গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও খতিয়ানভুক্ত টিলা ও পাহাড়ের বাগান মালিকদের লোভ লালসার ফাঁদে ফেলে নাম মাত্রমূল্যে বাগান কিনে অপ্রাপ্তবয়স্ক গাছগুলো কেটে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিচ্ছে। অনেকে এ গাছ খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খতিয়ানভুক্ত বাগান মালিকদের থেকে গাছ ক্রয় করে সংরক্ষিত বাগানের গাছ চুরি করে একত্রে বাহিরে বিক্রি করে দিচ্ছে। বন বিভাগের লোকজন জেনেও না জানার ভান ধরে নিরব ভূমিকা পালন করছে। বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে সংরক্ষিত বনের গাছ চুরি করে পাচার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। একজন কাঠ ব্যবসায়ী জানান, জানুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ইট ভাটার মৌসুম থাকায় এ সব গাছ বেশি দামে বিক্রি হয়। একজন ফার্ণিচার মিস্ত্রি জানান আকাশ মনি, বেলজিয়াম, গামারী, মেহগনী জাতের গাছ ফার্ণিচার তৈরি জন্য খুবই উপযোগী ও টেকসই। বেলজিয়াম ও আকাশ মনি গাছ অনেক ক্ষেত্রে সেগুন গাছের চাহিদা মিটাচ্ছে। পটিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোথায় ও কিভাবে গাছ বিক্রি হয়, পাচার হয় সে ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা যেগুলোর খবর পাচ্ছি তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপনাদের কাছে কোন তথ্য থাকলে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাঠ পুড়ছে ইটভাটায়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ