বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এক সময়ের স্রোতস্বিনী ভৈরব নদ পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে। প্রতিবছর পলি জমে ক্রমেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে এ নদ। ডেজিং না করায় নদের দুই পাড়ের জমি কৃষকসহ ভ‚মি দস্যুরা দখল করে এর বুক জুড়ে ধানের আবাদ করছে।
দেখা গেছে, নদের যেসব অংশে পানি প্রবাহ রয়েছে সেসব অংশ ভ‚মি দস্যুরা দখল করে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরী কেেরছে। এ সকল পুকুরে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফলে নদের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদের পাড় দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে ইটভাটা। যেসব স্থানে পানি শুকিয়ে গেছে সেসব স্থানে ধানের আবাদ করছে কৃষকরা।
উপজেলা ভ‚মি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার জীবননগর উপজেলার পৌরসভা, মনোহরপুর, উথলী, আন্দুলবাড়ীয়া ও বাকাঁ ইউনিয়নের সরকারি খাস খতিয়ানে ভৈরব নদের প্রায় ৮৩ হেক্টর জমি রয়েছে। এরমধ্যে জীবননগর পৌরসভার ২১ হেক্টর, উথলী ইউনিয়নের ৩২ হেক্টর, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ১৯ হেক্টর, ও বাঁকা ইউনিয়নের ১১ হেক্টর রয়েছে।
নদী সংলগ্ন লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক আইনাল হক জানান, পূর্বে ভৈরব নদের পানি দিয়ে ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে সেচ দিয়ে কৃষকরা শস্য উৎপাদন করতো। কিন্তু, ভ‚মি দস্যুরা নদের মাঝ দিয়ে বাঁধ দেয়ার কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্যালোইঞ্জিন দিয়ে ফসল ক্ষেত্রে সেচ দিতে হয়। বাঁকা গ্রামের রহমত আলী জানান, পূর্বে ভূমি দস্যুরা নদের জমি দখল করে নিয়েছিলো, তখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা দখলমুক্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ভূমি দস্যুরা আবারো বেপরোয়া হয়ে নদ দখলে মেতে উঠছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিলো পানিপথ। কলকাতার সাথে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য চুয়াডাঙ্গায় ভৈরব নদকে ঘিরে গড়ে উঠেছিলো। কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে বড় বড় বজরা নৌকায় করে মালামাল আনা নেয়া করা হতো এই নদ দিয়ে। এছাড়াও এ নদের পানি দিয়ে এলাকার কৃষকরা সেচ কাজে ব্যবহার করতেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম, জানান, বিষয়টি জেলা নদী কমিটিতে উপস্থাপনা করা হয়েছে। ইত্যেমধ্যে করতোয়া নদী খননের প্রস্তাব মন্ত্রালয়ে পাস হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে করতোয়ার চিত্র পাল্টে যাবে। জীবননগরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদকে একই ভাবে ড্রেজিং এবং খনননের জন্য একটি প্রস্তাব জেলা নদী কমিটির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্পের বড় ধরনের বরাদ্দ পাওয়ার আশা করছি। ভৈরব ড্রেজিং ও খনন করলে এ নদের চিত্র পূর্বের ন্যায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।