Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দু’বছরেও আসামি পায়নি পুলিশ, এক মাসেই আটক করল পিবিআই

কুমিল্লায় প্রাইভেটকার ভর্তি ফেনসিডিল উদ্ধার মামলা

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ছয়গ্রাম এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে ৭’শ ৮০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে বিজিবির সদস্যরা। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ওই প্রাইভেটকার এবং ফেন্সিডিলগুলো জব্দ করেন বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবির সুবেদার ফরিম উদ্দিন প্রধান একই বছরের ২৭ জানুয়ারি বুড়িচং থানায় মাদকের একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে মামলাটি তদন্ত করেন বুড়িচং থানা পুলিশ। পরিবর্তন হয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও। কিন্তু এরপরও গ্রেপ্তার হয়নি ওই ঘটনায় জড়িত মাদক কারবারিরা।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১০ জুলাই আদালতে দাখিল করা ফাইনাল রিপোর্টে এসআই আবুল কালাম আজাদ উল্লেখ করেন, তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও মামলার আসামি কিংবা স্বাক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের দেওয়া ওই ফাইনাল রিপোর্ট গ্রহণ না করে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লাতে প্রেরণ করেন আদালত।
পিবিআই সূত্র জানায়, মামলাটি তদন্ত শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই পিবিআইয়ের সদস্যরা ওই মাদকের কারবারে ব্যবহৃত গাড়িটির সর্বশেষ মালিকের নাম-ঠিকানা জানতে সক্ষম হন। এছাড়া ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও জানতে পারেন তারা। পরে এসব প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে পিবিআই, কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান এবং পুলিশ পরিদর্শক মো. ইফতিয়ার উদ্দিনের নেতৃত্বে পিবিআইয়ের একটি দল রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে শীর্ষ মাদক কারবারী এবং ওই প্রাইভেটকারের মালিক মো. আখতারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারি আখতারুজ্জামান নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার কোতালের বাগ এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলে।
পিবিআই জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আখতারুজ্জামান এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। পরে গত শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী আখতারুজ্জামান জানায়- সেদিন ফেন্সিডিল পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটির মালিক সে। আর ৭’শ ৮০ বোতল ফেন্সিডিলের মধ্যে ১’শ বোতল তার এবং বাকি ৬’শ ৮০ বোতলের মালিক বুড়িচংয়ের ফিরোজ নামের এক মাদক ব্যবসায়ী।
এদিকে, পুলিশের তদন্তে আসামি এবং স্বাক্ষীদের খুঁজে না পাওয়ার ব্যাপারে জানতে ওই মামলায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে গতকাল শনিবার দুপুরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেনসিডিল উদ্ধার মামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ