রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইলের সখিপুরে মানব বর্জ্যকে কঠিন পচনশীল বর্জ্যের সাথে মিশিয়ে কোকম্পোস্ট প্লান্টের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে কৃষি জমিতে ব্যবহারের জৈব সার। ‘মানববর্জ্য, পোল্ট্রি খামারের বর্জ্য, শহরের ময়লা-আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করি’ এই স্লোগান নিয়ে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল সখিপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পাহাড়ি অঞ্চল সেলামির চালা নামক স্থানে ২৫ শতাংশ জমির উপর স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে এবং ওয়াটার এইডের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সখিপুর কো-কম্পোস্ট প্লান্ট স্থাপিত হয়।
প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র পৌরসভার ৪০ হাজার মানুষের তরল ও কঠিনবর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কাজ শুরু করলেও গত তিন বছরে এখন এটি সখিপুর উপজেলার প্রায় অর্ধেক মানুষকে এই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। এই ব্যবস্থাপনায় স্বল্প মূল্যে বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান থেকে তরল ও কঠিন বর্জ্য, যেমন- মানব মলমূত্র, গৃহস্থালির পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা সংগ্রহ করে তা থেকে প্রস্তুত করা হয় কৃষি জমিতে ব্যবহারযোগ্য জৈব সার। প্রথম অবস্থায় ছোট আকারে কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে গত তিন বছরে পৌরসভা ছাড়িয়ে উপজেলার অর্ধেক মানুষের পয় ও কঠিনবর্জ্য নিষ্কাশনে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে উপজেলার শতভাগ মানুষের পয় ও কঠিনবর্জ্য নিষ্কাশনে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন কো-কম্পোস্ট প্লান্টের উদ্যোক্তারা। এই কোকম্পোস্ট প্লান্ট চালু হবার পূর্বে সখিপুর পৌরসভার সকল বর্জ্য আশে পাশের নদী-নালা ও খালের পানিতে মিশে যেতো। ফলে পয়ঃ ও কঠিন বর্জ্যে পরিবেশ, জলবায়ূ দূষিত হতো। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোকম্পোস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে মনুষ্য বর্জ্যকে কঠিন বর্জ্যের সাথে ব্যবহার ঊপযোগী করে তৈরি করে একদিকে যেমন পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমছে অন্যদিকে এই কাজ করে উদ্যোক্তারা আর্থিক ও ব্যবসায়ীকভাবে লাভবান হচ্ছেন। গত তিন বছরে এই কো-কম্পোস্ট প্লান্টের মাধ্যমে দুষণের হার ৪৬ শতাংশে নামিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে সখিপুর পৌরসভার পয়ঃ ও কঠিনবর্জ্য থেকে দূষণের হার শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং একইসাথে সখিপুর হবে বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম শতভাগ পয়ঃ ও কঠিন বর্জ্য দূষণমুক্ত পৌরসভা। আর্থিক ও ব্যবসায়ীকভাবে লাভবান হওয়ার কারনে গত ১৯ জানুয়ারি কোকম্পোস্ট প্লান্টের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জোয়া এন্টারপ্রাইজ’-এর সাথে পরিচালনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোন পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্যোক্তা ভিত্তিক ব্যাবসায়িক মডেল চালু হলো।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোকম্পোস্টিং পদ্ধতি অনেক ভালো একটা পদ্ধতি। দুষিত পরিবেশের এই যুগে পরিবেশ, বায়ু দূষন রোধে- এই ব্যবস্থাপনা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এইরকম উদ্যোগ নেওয়ায় সখিপুর পৌরসভাকে ধন্যবাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।