Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জলবায়ু ফান্ডের প্রকল্প গ্রহণে সুন্দরবন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে

দুবলার চরে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার

মংলা প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:২২ পিএম

জলবায়ু ফান্ডের প্রকল্প গ্রহণে সুন্দরবন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এনজিওদের সহযোগিতায় দুবলার শুটকি পল্লীর জেলেদের জন্য ভাসমান হাসপাতাল দেয়া হবে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের বিষয়টি সরকার সক্রিয় বিবেচনা করছে । এজন্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম সুন্দরবন এলাকা পরিদর্শন করবে। সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় বনজীবি-মৎস্যজীবী-জেলে-বাওয়ালী-মৌয়ালী সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি( শুক্রবার) বিকেলে সুন্দরবনের দুবলার আলোরকোল সুন্দরবন রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জেলে মহাসমাবেশে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত জেলে মহাসমাবশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, মংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হ্ওালাদার, উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম, ডিএফও মদিনুল আহসান, মাহমুদুল হাসান, মোঃ বশিরুল আল মামুন, মংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম সরোয়ার, মংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী, বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য সেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, মংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম দুলাল, পরিবেশ অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপপরিচালক মোঃ এমদাদুল হক ও ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের স্বাস্থ্য বিভাগের টিম লিডার ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম। মহাসমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমেদ। মহাসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ই¯্রাফিল হোসেন হ্ওালাদার, মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলাম, নারজিনা বেগম নাজিন, বাপা নেতা নাজমুল হক প্রমূখ। মহাসমাবেশে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপিকে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপ এবং জেলেদের পক্ষ থেকে ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপমন্ত্রী মহসমাবেশে আরো বলেন সরকার আইন-শৃংখলা বাহিনীর মাধ্যমে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেছে। মৎস্য সম্পদ আহরণে আর কোন বাধা নেই বলে তিনি ঘোষনা দেন। বিকেলে উপমন্ত্রী দুবলা চরের জলবায়ু ঝুঁকি এলাকা পরিদর্শন করেন। এর আগে সকাল ১০টায় উপমন্ত্রী সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে ৪টি কুমির অবমুক্ত করেন। বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ মদিনুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের নদ নদীতে কুমিরের সংখ্য বৃদ্ধি করে প্রতিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে ৪টি কুমির ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি নারী ও একটি পুরুষ কুমির রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কুমির সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবমুক্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ