নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
৭ দলের রাউন্ড রবিল লিগ থেকে টিকল চার। সেখান থেকে এলিমিনেটর আর কোয়ালিফায়ার পেরিয়ে শিরোপার মঞ্চে দুই দল- ঢাকা ডায়নামাইটস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আজ সন্ধ্যায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি বিপিএলের তারকা সমৃদ্ধ হেভিওয়েট দুই দল। সেই লড়াই জিতে তৃতীয়বারের মত বিপিএল চ্যাম্পিয়ণ হলো কুমিল্লা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ১৯৯ রান তোলে ৩ উইকেট হারানো কুমিল্লা। জবাবে উড়ন্ত শুরুর পরও ৯ উইকেটে ১৮২ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা।
প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রান আউটে সুনীল নারাইনের বিদায়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ঢাকা। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক ঝড়ো জুটিতে ম্যাচে ফেরান রনি তালুকদার ও উপুল থারাঙ্গা। ৪৮ রানে থারাঙ্গার বিদায়ে ভাঙে ১০ ওভার দীর্ঘ ১০২ রানের জুটি। ২৭ বলে লঙ্কান এই ওপেনার মারেন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা। এরপরই লাগে মড়ক।
মাত্র ৫ বল টিকতে পারেন সাকিব। ঢাকা অধিনায়ক ফেরেন মাত্র ৩ রানে। সেই শোকেই কিনা দারুণ খেলতে থাকা রনিও কাটা পড়েন রান আউটে। তবে তার আগে ৩৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে দলকে দিয়ে গেছেন পথের দিশা।
কিন্তু বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে বারবারই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে আসরের সবচেয়ে সফল দলটি। পোলার্ডও ঝড়ের আভাস দিয়ে ফিরে যান একটি বরে চার-ঝক্কায় ১৩ রান যোগ করে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই কিছু না কিছু অবদান রাখা আন্দ্রে রাসেলও (৩) কিছু করতে পারেননি এদিন। শুভাগত হোম এলেন আর গেলেন।
আগের বলেই জীবেন পেয়েছেন, বাউন্ডারিতে তার উড়িয়ে মারা বল হাত ছুঁইয়ে সীমানা পার করেছেন থিসারা। পরের বলেই প্যাভিলিয়নের পথে সোহান। ১৫ বলে ১৮ রানে ফেরেন ঢাকা উইকেটরক্ষক। থামে ঢাকার পথচলা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তামিম শুরু করেছিলেন দেখে শুনে, সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে ব্যাটের ধার। তুলে নিয়েছেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। ৫০ বলে তার শতকটি ৯টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজানো। এর পর আরো হাত খুলে মারছেন, অপরাজিত আছেন ৫৩ বলে ১১৫ রানে, চার ৯টি ছক্কা ৮টি!
৩১ বলে জাতীয় দলের এই ওপেনার ফিফটি তুলেছিলেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায়। তাকে সঙ্গ দেয়া অধিনায়ক ইমরুল কায়েস অপরাজিত আছেন ২১ বলে ১৭ রানে।
৪৫ বলে ১০০ রানের জুটিতে ইমরুলের অবদান মাত্র ১৭!
এনামুল হক বিজয়ও খেলছিলেন সন্তর্পণে। তবে সাকিবের বলে এলবিতে কাটা পড়ার আগে ৩০ বল খেলে করেছেন ২৪ রান।
পরের বলেই ক্রিজে আসা শামসুর রহমান শুভকে দারুণ ক্ষীপ্রতায় রান আউটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব।
ফিফটির পথে দুইবার জীবন পেয়েছেন তামিম। একবার উইকেটের পেছনে। আরেকবার ফাইন লেগে দৌড়ে এসেও একটুর জন্য তালুবন্দী করতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল।
এর আগে শুরুটা ভালো হয়নি ইমরুল কায়েসের দলের। দলীয় মাত্র ৯ রানেই বিদ্ধংসী ওপেনার এভিন লুইসকে হারায় কুমিল্লা। রুবেলের এলবির আবেদনে সাড়া দিয়ে কাতে আউট দেন আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেন নি এই ক্যারিবিয়। ৭ বল খেলে একটি চারে করেছেন মাত্র ৬ রান।
ম্যাচ শুরু হতে তখনও বাকি দুই ঘন্টা। দুপুর গড়িয়ে মাত্র পশ্চিমে ঢলেছে সূর্য্য। এরই মধ্যে মিরপুর স্টেডিয়াম চত্ত্বর কানায় কানায় পূর্ণ! কেউ টিকিট নিয়েই এসেছেন, আবার কেউ স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন ‘যদি একটি টিকি পাই’! তবে সোনার হরিন বিপিএলের ফাইনালের টিকিট যে আগেই শেষ! খোঁজ নিয়ে যানা গেছে ৪০০ টাকার গ্যালারির টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকায়! তাতেও কাড়াকাড়ি!
স্টেডিয়ামে ঢুকে চোখ ছানাবড়া! গ্যালারিও প্রায় পূর্ণ। তবে যারা বাইরে অপেক্ষমাণ, তাদের কি হবে? শুরুতে যে বিপিএল দর্শকখরার লাঞ্চনায় জর্জর হতে হয়েছে সেই বিপিএলেই এখন ২৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই হোম অব ক্রিকেট ম্যাচের আগেই পূর্ণ! ম্যাচের ফাঁকে জায়ান্ট স্ক্রিণ দেখালো আজ দর্শকউপস্থিতি ২৫ হাজার ৯৯৩ জন!
স্কোয়াড :
ঢাকা ডায়নামাইটস : উপুল থারাঙ্গা, সুনীল নারাইন, রনি তালুকদার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), কায়রন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল, নুরুল হাসান সোহান, মাহমুদুল হাসান, শুভাগত হোম, রুবেল হোসেন, কাজী অনিক।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : তামিম ইকবাল, এভিন লুইস, ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, শামসুর রহমান শুভ, শহীদ আফ্রিদী, থিসারা পেরেরা, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ওয়াহাব রিয়াজ, মেহেদী হাসান, সঞ্জিত সাহা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।