মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে? নিশ্চয় বলবেন বিল গেটস বা জেফ বেজোস। উত্তরটা সম্পূর্ণ ভুল! বর্তমানে গেটস, বেজোসরা ধনীর তালিকায় শীর্ষে থাকলেও এরা কিন্তু সর্বকালের সবচেয়ে ধনী নন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এমন এক জন যাঁর সম্পত্তির পরিমাণের ধারে কাছেও বিল-জেফরা যেতে পারবেন না! এমনকী ইতিহাসের কোনও রাজাও ছুঁতে পারেননি না তাকে। ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আমাজনের সিইও জেফ বেজোস (১১২ বিলিয়ন ডলার)। তারপর মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেটস (৯০ বিলিয়ন ডলার) এবং মার্কিন সংস্থা বার্কশায়ার হাথাওয়ের অধিকর্তা ওয়ারেন বাফেট (৮৪ বিলিয়ন ডলার)। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী মুকেশ অম্বানী (৩৯ বিলিয়ন ডলার)। আর যার কথা হচ্ছে, সর্বকালের সেই সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? ৪০০ বিলিয়ন ডলার। তিনি মানসা মুসা। আফ্রিকার বর্তমানে গরিব দেশ মালির রাজা ছিলেন তিনি। ১৩১২ সালে মালির সিংহাসনে বসেন মুসা কেইটা-১। রাজা হওয়ার পর তারই নামকরণ করা হয় মানসা মুসা। স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইভানস্টোনে নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে তার জীবন নিয়ে একটি প্রদর্শনীও হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, তার সম্পত্তির পরিমাণ এত ছিল যে, ভবিষ্যতেও কেউ তা ছুঁতে পারবেন না। আফ্রিকার মালির মতো এত গরিব দেশের রাজা কী ভাবে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন? প্রশ্নটা আসতেই পারে। ইতিহাসবিদরা জানাচ্ছেন, সে সময়কার পরিস্থিতি ছিল বর্তমান পরিস্থিতির ঠিক উল্টো। আফ্রিকা তখন ফুলেফেঁপে উঠেছে। কারণ, মালি সাম্রাজ্য তখন মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। প্রকৃত অর্থেই সোনা ফলত মালির মাটিতে। আর সেই সোনাই তাকে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। প্রচুর সোনার খনি রয়েছে মালিতে। মানসা মুসাই প্রথম এই খনির সন্ধান পান। ক্ষমতায় আসার পর নিজের সামাজ্যের বিস্তৃতি ঘটিয়েছিলেন মুসা। সেনেগাল, গাম্বিয়া, গিনিয়া, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজেরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তার করেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ১৩২৪ সালে মুসা মক্কা যাত্রা করেন। ৪ হাজার মাইলের এই যাত্রা ছিল আড়ম্বরপূর্ণ। অফুরন্ত ধনদৌলতের সঙ্গে নিয়েছিলেন বিশাল বাহিনীকে। কয়েক হাজার সেনা, ক্রীতদাস এবং প্রজাদের। মানসা মুসার সামনে ছিল ৫০০ সেনা, যারা শুধুমাত্র সোনা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সোনা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজে লাগানো হয় উট এবং ঘোড়াদেরও। যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় ওই সোনা দান করেছিলেন মুসা। ইতিহাসবিদদের দাবি, মিশরের কায়রোতে তিনি এত সোনা দান করেছিলেন যে ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছিল। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগেছিল। ১৩৩৭ সালে মানসা মুসা মারা যান। তার ছেলে মেঘান ১ রাজা হন। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।