বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেদের মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি সামুদ্রিক মাছ আহরণ খাতকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর পরিকল্পনা ও নীতির অভাবে এই প্রতিশ্রুতিশীল খাতটি পিছিয়ে রয়েছে।
প্রতিবছর বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১০ লাখ টন মাছ ধরা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশি জেলেরা ধরেন প্রায় ১০ শতাংশ। প্রায় ১০ লাখ পরিবার এই খাতের ওপর নির্ভরশীল। তাদের মধ্যে প্রায় সাত লাখ জেলে পরিবার। কিন্তু বেশির ভাগ জেলে নৌকার মালিক নন। তারা দাদন ব্যবসার খপ্পরে পড়ে মাছ ধরার আগে কম দামে সেগুলো বেচে দিতে বাধ্য হন।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন অধিক পরিমাণে সুমদ্রসম্পদ আহরণের জন্য এবং মাছ ধরা একটি খাত যেখানে অনেক মানুষ জড়িত আছে। এখানে পরিবর্তন আনা সম্ভব। এই খাতকে বড় করতে হলে ওই জেলেদের সহায়তা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি পাইলট প্রকল্পের কথা চিন্তা করছি। যার মাধ্যমে ওই জেলেদের সমবায় বা অন্য মাধ্যমে আধুনিক ট্রলার সরবরাহ করা হবে, যাতে করে তারা দাদন ব্যবসা থেকে মুক্ত হতে পারেন।’
তার মতে, বাংলাদেশে প্রায় ৭০,০০০ কাঠের নৌকা আছে এবং প্রায় ৫,০০০ ট্রলার আছে, যা শুধুমাত্র অগভীর পানিতে মাছ ধরে। কিন্তু আমাদের গভীর সুমদ্রে যেতে হবে। কারণ বেশির ভাগ বড় মাছ গভীর পানিতে থাকে।
খোরশেদ আলম বলেন, ‘অধিক মাছ আহরণও আরেকটি সমস্যা যে বিষয়ে আমাদের জেলেদের সচেতন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জেলেরা মাছ ধরার সময় ছোট মাছ পাওয়ার পরে বড় মাছ পেলে তারা ছোট মাছগুলো ফেলে দেয়, যা একটি বড় অপচয়।’
উপকূলে মাছ নামানোর সরকারি ঘাট তৈরি করার দরকার বলে মনে করেন খোরশেদ আলম। তার মতে, এতে করে বোঝা যাবে কোন ধরনের কী পরিমাণ মাছ ধরা পড়লো জেলেদের জালে।
খোরশেদ আলম বলেন, ‘টেকসই উপায়ে সব্বোর্চ্চ পরিমাণ মাছ ধরার জন্য কোন প্রজাতির মাছ কী পরিমাণ আছে, সেটি জানা আমাদের জন্য জরুরি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।