বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালে শিশু সন্তানসহ এক দম্পতিকে থানায় আটকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও মেট্রোপলিটান পুলিশের বিমান বন্দর থানা তা অস্বীকার করেছে। তবে থানা পুলিশ এক দম্পতিকে থানায় নেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছে। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের বাসিন্দা মিঠুন সিকদার স্ত্রী সানজিদা নিপা ও ৪ বছরের ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে গত সোমবার বিকালে বাসযোগে ঢাকা থেকে বরিশালে রওনা হন। বাসটি রাত ৩ টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পৌঁছালে মিঠুন সিকদার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টার্মিনাল সংলগ্ন নিঝুম নামের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। মিঠুন সিকদার জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে একটি শালিস বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি বরিশালে আসেন। সকালে স্ত্রী ও সন্তানকে হোটেল কক্ষে রেখে মিঠুন বাকেরগঞ্জ যান। বেলা আনুমানিক ১২ টার সময় স্ত্রী সানজিদা ফোনে মিঠুনকে জানায়, হোটেলে পুলিশ এসেছে। মিঠুন অভিযোগ করেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান হোটেল কক্ষে গিয়ে সানজিদাকে নানাভাবে প্রশ্ন করে বিব্রত করতে থাকে। এসময় মিঠুন এস.আই সাইদুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তারা বিবাহিত জানালেও সাইদুর সন্তুষ্ট হতে পারেনি। বরং ভয়ভীতি দেখিয়ে সানজিদা ও শিশু জুনায়েদকে থানায় নিয়ে যায়। মিঠুন সিকদারের অভিযোগ, স্ত্রী-সন্তানকে থানায় নেওয়ার খবর জেনে তিনি বাকেরগঞ্জ থেকে সরাসরি বরিশাল এসে বিমানবন্দর থানায় যান। থানায় যাওয়ার পর এস.আই সাইদুর রহমান হ তিন জন মিঠুনকে আলাদা একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করে এবং থানা থেকে মুক্ত হতে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ চায়। স্ত্রী ও সন্তানকে আলাদা একটি কক্ষে আটকে রাখে পুলিশ।
খবর পেয়ে মিঠুনের বড় ভাই দুলাল সিকদার ও সানজিদার বাবা নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থানায় ছুটে আসেন। এসময় মিঠুন দম্পতি ও শিশু জুনায়েদকে ছেড়ে দিতে সাইদুর রহমান তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে মিঠুন সিকদারের অভিযোগ করেছেন। এক পর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্তানসহ মুক্তি পায় মিঠুন দম্পতি। তবে ছেড়ে দেওয়ার আগে পুলিশ তাদের ছবি তুলে রাখে এবং সাদা কাগজে নাম-ঠিকানা লিখে তাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনের স্বাক্ষর রেখে দেয়। অভিযুক্ত বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান নিঝুম হোটেলে গিয়ে সানজিদা ও তার শিশু সন্তান জুনায়েদকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সত্যতা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছে। সানজিদার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা পাওয়ায় সন্দেহবশত তাকে থানায় নিয়ে যাবার কথা বললেও মারধর ও উৎকোচ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপ-পরিদর্শক সাইদুর।
বিমানবন্দর থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুল সাংবাদিকদের কাছে ওই দম্পতিকে থানায় নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে মারধর ও উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেছেন মিঠুন ও তার স্ত্রী তাদের অন্যায় ঢাকার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে। কারণ মিঠুনের পূর্বে একটি বিয়ে ছিল। ওই স্ত্রী মিঠুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সেকারণে এখন কাল্পনিক অভিযোগ করছে। তবে মিঠৃুনের পূর্বের বিয়ের সাথে তার স্ত্রী-সন্তানকে থানা নিয়ে আটকে রাখার কি সম্পর্ক তা তিনি বলেন নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।