Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্ত গণতন্ত্রের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

ফ্রিডম হাউসের গবেষণা প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউসের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগরিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকারের বিচারে তৈরি মুক্ত গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশকে ‘আংশিক মুক্ত’ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে এই গবেষণা সংস্থাটি। ‘ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড-২০১৯’ শীর্ষক রিপোর্টে দেখা যায় জনগণের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪১ পয়েন্ট লাভ করেছে। বিশ্বের ১৯৫টি দেশে ১৪টি অঞ্চলে গবেষণা করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সুনির্দিষ্টভাবে রাজনৈতিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ৭ স্তরবিশিষ্ট নিম্নমুখী সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম স্তরে। একই ভাবে নাগরিক স্বাধীনতার সূচকেও বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে। আর সামগ্রিকভাগে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ৭ স্তর বিশিষ্ট নিম্নমুখী সূচকেও বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম স্তরে। আর ১০০ স্তরবিশিষ্ট সূচকে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪১ পয়েন্ট। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালিয়েছে। বিরোধীদের দাবিয়ে রাখতে তারা নন্দিত ব্যক্তিদেরকে গ্রেপ্তার ও ভীতি প্রদর্শন করেছে। আর ব্যাপক অনিয়মের কারণে ওই নির্বাচন চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে সহিংসতা ঘটেছে। যাতে এক ডজনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
শুধু বাংলাদেশই না, বৈশ্বিক পরিমÐলেও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। ফ্রিডম হাউসের গবেষণা রিপোর্ট বলছে, টানা ১৩ বছর ধরে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতি দেখছে বিশ্ব। সুপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশ থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে থাকা দেশ পর্যন্ত, সব খানেই গণতন্ত্রের স্বাধীনতাসূচক নিম্নমুখী। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি মনে করে বিশ্ব রাজনীতিতে ক্ষমতার ভারসাম্যে নতুন মেরূকরণের কারণেই পূর্বের তুলনায় অধিক দেশ এখন কর্তৃত্ববাদের প্রতি ঝুঁকছে। আর এতে গণতন্ত্র পিছু হটছে।
ফ্রিডম হাউসের রিপোর্টে গণতান্ত্রিক অবস্থার ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সেগুলো মুক্ত, আংশিক মুক্ত ও মুক্ত না। পূর্ববর্তী কয়েক বছরের মতো এবারো বাংলাদেশের ঠাঁই হয়েছে আংশিক মুক্ত ক্যাটাগরিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারও আংশিক মুক্ত গণতন্ত্রের তালিকায় রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে ভারত মুক্ত গণতন্ত্রের তালিকায় রয়েছে। দেশটির স্কোর ৭৫। বৈশ্বিক পর্যায়ে গণতান্ত্রিক সূচকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সুইডেন, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। ইউরোপের এই দেশগুলো ১০০ পয়েন্টের মধ্যে পুরো পয়েন্ট অর্জন করেছে। মুক্ত গণতন্ত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটির গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ফ্রিডম হাউস। ##

 

 



 

Show all comments
  • Samiul Alam Sami ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 0
    কি আর করবে।দুদক চেয়ারম্যান বলছিল "দেশে বর্তমানকাল দুর্নীতি যা তাতে মনে হয় দুর্নীতির মহাসমুদ্রে দাড়িয়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। " আর টিআাইবির রিপোর্ট নিয়ে দেশবাসীর বুবা কথার সাথে মিলেগেলে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বাজে কথা বলে উড়িয়ে দিলেন। সমস্যাদি কখোনো নিরমুল হয়ে যাই কি? শফত নিয়ে প্রধান মন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রলই গিয়া জাতীকে বুঝাতে চায়লেন তিনি কোন দুর্নীতি হতে দিবেনা।এজন্য দলের প্রতিষটাকাল থেকে যারা রাজনীতি করছিলেন(যখন শেখ হাসিনা রাজনীতির র ও বুঝতেনা তখন তারা এক একজন বলিষ্ঠ নেতা) তাদেরকে মন্ত্রী সভা থেকে বাদ দিয়ে সংসদীয় কমিটির দায়িত্ব দিয়ে।আর শরীক দলকে বাধ্য করলেন বিরোধী দলে বসতে।কারন তাদের কথা না শুনলে কিছু করার উপায় নাই। এমপি হিসাবে যা ফাসেলিটি পাবেন তাই নিয়ে চুপচাপ থাকলেন।আর জাসদ নুরুল আমবিয়া মিডিয়ায় বোমা ফাটালেন ভোট চুরি নিয়ে।এটাতে উনাকে মহৎ ভাবার কোন কারন নেই। কারন ওনাকে এবার ভোটে নমিনেশন দিয়ে নিজ এলাকায় ঘটা করে মনোনয়ন দাখিল করিয়ে ফায়নাল টিকিট দিয়েছিলো দলীয় সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তি কে। যাতে তার কনফার্ম এমপি হাত থেকে ফসকে গেলেন। এজন্য তিনি সুযোগে ঘা মারলেন। ৩১শে ডিসেম্বর মাননীয় সরকার প্রধান বিদেশী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন "নির্বাচন যদি একপেশে হয়ে থাকে এবং যে অভিযোগ বিরোধী সব দল থেকে যা দাবী করছে তা সত্যি হয় তাহলে পুনরায় ভোট হতে পারে। এখন মহাজোটের একাংশ জাসদ(আমবিয়া) এর এই কথাটার উপর কি জবাব দেবেন মহাজোট প্রধান? আমবিয়া বলেছেন তাদের এই বিবৃতি রেজুলেশন কপি পি এম এর কাছেও পৌঁছায় দেওয়া হবে। বৃটিশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের গতকাল এক বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে একজন বলেছে"শেখ হাসিনা ২০২১ সালে দেশের ৫০ বছর পালনে নিজ দলের নেতৃত্বে পালন করতে এই ধরনের যেনতেন উপায় বেছে নিলেন।যাতেকরে সাদীনতার সুবর্ণজয়নতী পালেনের অনুষঠানে বিশ্বের খমতাধর সব সরকার প্রধানদেরকে বাংলাদেশে দাওয়াত দিয়ে এনে ২০১৮ সালের নির্বাচনের বৈধতা নেবার চেষ্টা করবেন এবং পুরনো ৫ বছর শেষ করবেন। আর সরকার বিরোধীদের রাজপথে কোন আন্দোলন করতে দিবেনা।যতই টকশোতে সরকারকে সমালোচন করা হোকনা কেন,শেয়ালের কাছে "আংগুর ফল টক" মনে করা হোকনা কেন!
    Total Reply(0) Reply
  • MD Masud Howlader Holader ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 0
    কেন নেই বুজলাম না এত নিখুঁত বাবে ২৯ তারিখঃ রাতের আধারে গনতন্ত্রের পাছায় বাঁশ দিয়ে দিল এটাই তো আওমীলীগ এর গনতন্ত্র ওদের থেকে এর চেয়ে আর কি আসাকরা জায়
    Total Reply(0) Reply
  • প্রজম্মের ভাবনা ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 0
    বাকশাল তন্ত্রে গনতন্ত্র শেষ ।।
    Total Reply(0) Reply
  • Asadur Rahman ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 0
    মুক্ত আর আমুক্ত। দেশে কোন তন্ত্র েআছে নাকি? েএখন শুধু মন্ত্র আর মন্ত্র।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Alamgir Hossain ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 0
    বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখন বসে, বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি ফেঁকা হাদিস চষে !!
    Total Reply(0) Reply
  • Mojjamal hossan ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশ কোন তালিকায় আছে তা জনগণ বেশ ভালো করে জানে। অন্যরা বললেই কি হবে বাংলাদেশ এর জনগণ তা খুব ভালো করে জানে। জনগণ এর কাছে তালিকার চেয়ে গুরুত্ব তাদের দেশ এর প্রতি ভালোবাসা। অন্যরা কি সব তালিকা প্রকাশ করল তাতে দেশ এর মানুষ এর কোন কিছু আসে যায় না।
    Total Reply(0) Reply
  • Akash Rahman ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 0
    বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে এখন সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র। বিএনপি দল মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে যে, মুক্ত গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নাই। কিন্তু আমরা সাধারন জনগন এখন আর বোকা নেই, আমরা জানি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে গণতান্ত্রিক ভাবধারা সব সময় অক্ষুন্ন রাখা হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Mhafuz Ahmed Bhuiyan ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 0
    গনতন্ত্র দিয়ে কি হবে!! আমাদের প্রয়োজন শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ. চীনেও গনতন্ত্র নেই. শক্তিশালী অর্থনীতি দিয়ে তারা বিশ্ব শাসন করছে.
    Total Reply(0) Reply
  • MD Amir Hossain ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ২:০৯ এএম says : 0
    যে সংস্থা জরিপটা করেছে তারা সঠিক কথাই বলেছে এরপরেও বাংলাদেশ কি ভাবে উন্নয়নশীল দেশের তকমা পায়??এরকম মিথ্যা উন্নয়নশীল দেশের তকমা চাই না আমরা সত্যি কারের উন্নয়নশীল দেশ হতে চাই কারোর লবিংয়ের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশের তকমা নিতে চাই না.......
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ