পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ওমরাহযাত্রীর টিকিট সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। এয়ারলাইনগুলো প্রতি ওমরাহ টিকিটে ৩ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা দাম বাড়িয়েছে। ওমরাহ টিকিট সঙ্কটের সুযোগে কোনো কোনো এয়ারলাইন্স টিকিট প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে ওমরাহযাত্রীদের দুভোঁগ দিন দিন বাড়ছে। ওমরাহ এজেন্সীগুলো ওমরাহযাত্রীদের টিকিট বুকিংয়ে গলদঘর্ম হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এ যাবত বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭৫ হাজার ওমরাহযাত্রী সউদী আরবে গেছেন। আর পাকিস্তান থেকে ওমরাহ পালন করতে সউদী আরবে গেছেন প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী। বিগত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে কম সংখ্যক ওমরাহযাত্রী সউদী আরবে গিয়েছিলেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-জেদ্দা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত কোনো ওমরাহ টিকিট নেই বলে জানা গেছে। বিমান গত ১ ফেব্রæয়ারী থেকে ওমরাহ টিকিট প্রতি ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে। বিমানের ঢাকা-জেদ্দা-মদিনা-ঢাকা রুটে কোনো ফ্লাইট নেই। বিমান শুধু ঢাকা-জেদ্দা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে ওমরাহযাত্রী পরিবহন করছে। বিমানের ওমরাহ টিকিট নেই বলেও প্রচার করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে বিমানের ওমরাহ টিকিট ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সাউদিয়া অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স গত ১ ফেব্রæয়ারি থেকে ওমরাহযাত্রীদের টিকিটের দাম বিনা কারণে ৩ হাজার টাকা করে বাড়িয়েছে। জানুয়ারি মাসেও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ওমরাহ টিকিট ৫২ হাজার টাকা থেকে ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সাউদিয়া এয়ারলাইন্স গত ১ ফেব্রæয়ারি থেকে ওমরাহযাত্রীর টিকিট ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। গত জানুয়ারি মাসেও এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ওমরাহ টিকিট ৪৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত ১ ফেব্রæয়ারি থেকে এমিরেটস এয়ালাইন্স ওমরাহ টিকিট ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে।
গালফ এয়ারলাইন্সের ওমরাহ টিকিটও ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বর্ষা ওভারসীজের স্বত্বাধিকারী মো. বোরহানুল ইসলাম জানান, গালফ এয়ারলাইন্স ঢাকা-জেদ্দা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে ওমরাহযাত্রীর টিকিট ৪২ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। কী কারণে ওমরাহ টিকিট ১০ হাজার টাকা করে বাড়তি নেয়া হচ্ছে তার সঠিক উত্তর গালফ এয়ারলাইন্স দিতে পারেনি বলেও বোরহানুল ইসলাম উল্লেখ করেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওমরাহযাত্রীরা প্রতি টিকিটে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হচ্ছে না। তার পরেও কোনো উপায় না দেখে ৩৩ জন ওমরাহযাত্রীর জনপ্রতি অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে ৫২ হাজার টাকা করে ক্রয় করতে বাধ্য হয়েছেন। উল্লেখিত ৩৩ জন ওমরাহযাত্রী আগামী ১০ ফেব্রæয়ারি জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তাদের ওমরাহ পালন শেষে আগামী ২৩ ফেব্রæয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে। আবাবিল হজ গ্রæপের চেয়ারম্যান মুফতী মো. আবু ইউসুফ বলেন, ওমরাহযাত্রীদের টিকিট সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ওমরাহ টিকিটের সঙ্কট সৃষ্টি করে টিকিট প্রতি ১০ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। ওমরাহ টিকিটের জন্য এয়ারলাইনগুলোয় ধরনা দিয়ে এজেন্সী মালিকরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তিনি ওমরাহ টিকিট সঙ্কট দ্রæত নিরসনের লক্ষ্যে বিমানের ঢাকা-জেদ্দা-মদিনা-ঢাকা রুটে বিমানের ওমরাহ ফ্লাইট চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিমানের ঢাকা-জেদ্দা-মদিনা-ঢাকা রুটে ওমরাহ ফ্লাইট চালু না করায় বিমান প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মুফতী আবু ইউসুফ উল্লেখ করেন।
রাজশাহী ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মুফতী মুস্তাফিজুর রহমান ওমরাহ টিকিট সঙ্কট প্রসঙ্গে বলেন, ওমরাযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারলাইনগুলো ওমরাহ টিকিটের দাম দেদারসে বাড়াচ্ছে। এতে ওমরাহযাত্রীদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তিনি ওমরাহ টিকিট সঙ্কট নিরসন এবং টিকিটের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে দ্রæত কার্যকরি উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।