Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হেঞ্জু মিয়ার জীবনকথা

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে ইমাম হোসেন | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬ এএম


ভিক্ষাবৃত্তি নয় আত্মনির্ভশীল হয়ে জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় ইচ্ছাই শারিরীক প্রতিবন্ধী হেঞ্জু মিয়াকে জীবন যুদ্ধে জয়ী করেছে। তার চাইতেও সক্ষম ব্যাক্তি অনেকেই পেশা হিসেবে ভিক্ষাকে বেচে নিয়েছে। অথচ ব্যতিক্রম শারিরীক প্রতিবন্ধী হেঞ্জু মিয়া। অক্ষমতাকে দুরীভূত করে সক্ষম মানুষের মত জীবন পরিচালনা করছেন।

‘বাদাম, ‘বাদাম, ‘বাদাম। বাদাম ভর্তি ছোট ঝুড়ি নিয়ে এভাবে চিৎকার করতে করতে উপজেলায় অলিগলি হেঁটে বেড়ায় মীরসরাইয়ের শারিরীক প্রতিবন্ধী হেঞ্জু মিয়া। প্রতিদিন মীরসরাই উপজেলার ঘুরে ঘুরে ‘বাদাম বিক্রি করেন তিনি। প্রচন্ড রোদ, গরম কিংবা বৃষ্টি কোনো কিছুই তার পথ আগলাতে পারেনি। অবিরাম ‘বাদাম নিয়ে ছুটেই চলছে মীরসরাই পৌরসদর সহ উল্লেখযোগ্য হাট-বাজার গুলোতেই।
তিনি বাদাম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মীরসরাই উপজেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কিন্ডার গার্টেন, বাসষ্টেশন তার সরব উপস্থিতি চোখের পড়ার মত। সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলে অর্থাৎ লোক

আলাপচারিতায় জানা যায়, শারিরীক প্রতিবন্ধী হেঞ্জু মিয়ার বাড়ি উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে সৈদালী গ্রামে তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তিনি বেসরকারী এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ২ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। তার ছেলে বর্তমানে প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজে অধ্যায়নরত।

এই বিষয়ে ১৩নং মায়ানী ইউনিয়নের পরিষদের চেয়াম্যান কবির আহম্মেদ নিজামীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার পরিষদ থেকে যতটুকু সম্ভব শারিরীক প্রতিবন্ধী হেঞ্জু মিয়াকে প্রতিবন্ধী ভাতা ও সহযোগীতা করে যাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হেঞ্জু মিয়ার জীবনকথা

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ