Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পীরগঞ্জে বালু উত্তোলনকারীরা বেপরোয়া!

পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া করতোয়া নদীর দু’ধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আজও বন্ধ হয়নি। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, টুকুরিয়া মদনখালী চতরা ও বড় আলমপুর ইউনিয়নের করতোয়া নদীতে ৫০ জনেরও বেশি প্রভাবশালী নিজেদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে বছরের পর বছর ধরে। এলাকার লোকজন নানভাবে প্রতিবাদ জানিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। কর্তৃপক্ষ জানায়, উপজেলা ভুমি অফিস থেকে বালু উত্তোলনকারিদের তালিকা প্রণয়ন পুর্বক প্রত্যেকের নামে বালু উত্তোলন বন্ধের নোটিশ দিয়েই তারা তাদের দায়িত্ব সেরেছেন।

অভিযোগ রয়েছে রাতারাতি স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুুলিশের সাথে বিশেষ আঁতাত হওয়ায় ওই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় বর্নিত ইউনিয়নগুলোর রাস্তাঘাট, ফসলী জমি ঘরবাড়ি ভেঙে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

অভিযাগে জানা গেছে, এলাকার লোকজন বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় তাদের সাথে বালু উত্তেলনকারিদের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে মামলা করতে গেলে রহস্যজনক কারনে তাদের মামলাও নেয়া হয়নি। গতকাল দুপুরে বড় আলমপুর ইউনিয়নের ৫ গ্রামের দু সহস্রাধিক নারী পুরুষসহ অন্যান্য পেশার লোকজন মানববন্ধন করেছে। বড় আলমপুর ইউনিয়নের ধর্মদাশপুর মাদরাসা মোড়ে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুয়েত প্রবাসী তাতারপুর গ্রামের বকুল মিয়া, একই গ্রামের গৃহবধূ আয়শা বেগম, মনিকা বেগম, আব্দুল জব্বার, রসুলপুর গ্রামের ফারজানা খাতুন, আব্দুর রউফ মন্ডল, ধর্মদাশপুর গ্রামের নাহিদ হাসান, শিমুলবাড়ি গ্রামের আতাউর রহমান ও রাসেল মিয়া।

এ সময় বক্তারা উল্লেখ করেন-একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এদিকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগি হওয়া ছাড়াও বেপরোয়া যান চলাচলে স্কুলগামী শিশুরা বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা ও পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আতাত ও সংঘবদ্ধভাবে রীতিমতো সমিতি গঠন পুর্বক যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, তারা হলেন-তাতারপুর গ্রমের সাবেক ইউপি সদস্য জোবায়দুল, ধর্মদাশপুর গ্রামের ডাঃ ইসাহাকের পুত্র সাইফুল ইসলাম, একই গ্রামের মফিজার রহমান, আনারুল ইসলাম, মোঃ রজ্জব আলী, মমিন মিয়া, মন্টু মিয়া, শিমুলবাড়ি গ্রামের আকমল হোসেন, আরশাদুল হক ও আতোয়ার রহমানসহ ৫০ জনেরও বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বালু উত্তোলনকারীরা বেপরোয়া
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ