Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট শিক্ষা দিয়েছে গ্রামীণফোন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

তথ্য-প্রযুক্তির এই যুতে শিশুরা খুবই অল্পবয়স থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এবং শিক্ষাবিষয়ক কন্টেন্টে তরুণদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ ভূমিকা রাখছে। চাইলেই শিশুদের ইন্টারবনেট থেকে দূরে রাখা যায় না। কেননা, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শিক্ষা ও জ্ঞান পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একমাত্র শক্তিশালী মাধ্যম। এজন্য, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ এ ইকোসিস্টেম সংশ্লিষ্ট সবার জন্য প্রধান ও প্রথম ভাবনার বিষয় হওয়া উচিৎ নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা। আর তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার (আইএসডি) মিলনায়তনে একসাথে আন্তর্জাতিক ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস’ পালন করলো গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ। ইতিবাচক ডিজিটাল শিক্ষা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বিষয়ক নানা পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উভয়েরই জানাশোনা, সচেতনতা ও সংবেদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে গ্রেড ৫ থেকে গ্রেড ১০- এর আড়াইশ’ শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণমূলক গেমের মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে বোঝানো যাতে তারা নিরাপদ ও অনলাইনে বিচরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে পারে।
ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল পরিবেশে শিশুদের জন্য নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটি প্রোগ্রাম’। ২০১৪ সাল থেকে গ্রামীণফোন নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক নানা কর্মস‚চি পালন করে আসছে এবং এ কর্মস‚চির বিস্তৃতির মাধ্যমে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ লাখ শিক্ষার্থী এবং ৭০ হাজার বাবা-মা ও অভিভাবকদের শিক্ষিত ও এ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে ইউনিসেফের সাথে অংশীদারিত্ব করে।
নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসের অংশ হতে পারা নিয়ে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘নিরাপদ ইন্টারনেটের বিষয়ে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় এবং আমরা ডিজিটাল বিশ্বে তরুণদের নিরাপদ বিচরণে সহায়তা করে আসছি।
এ নিয়ে ইউনিসেফের চিফ অব চাইল্ড প্রটেকশন জিন জেবি বলেন, ক্রমবর্ধমান হারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ার সাথে সাথে সাইবার বুলিং সহ বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে অনলাইনে সহিংসতাও বাড়ছে। শিশুরা তাদের বাড়িতে, স্কুলে এবং নিজেদের কমিউনিটিতে যে সহিংসতার শিকার হয় তা ডিজিটাল বিশ্বেও চলে আসছে। কিন্তু সুসংবাদ হচ্ছে, আইন তৈরি করে ও হেল্পলাইন তৈরির মাধ্যমে বুলিং ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ করতে এবং বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং সাইবার বুলিং সহ অনলাইনে সহিংসতা (#এন্ডভায়োলেন্স) বন্ধ করতে পারি। আর এ নিয়ে গ্রামীণফোনের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। #



 

Show all comments
  • Tawfik Imroz ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:০০ এএম says : 0
    The steps you have taken are really helpful for the next generation
    Total Reply(0) Reply
  • তৌফিক ইমরোজ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:০৪ এএম says : 0
    আপনাদের গৃহীত পদক্ষেপ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য খুবই উপকারী
    Total Reply(0) Reply
  • Tawfik Imroz ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:১৩ এএম says : 0
    গৃহীত পদক্ষেপটি খুব ভালো একটি পদক্ষেপ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণফোন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ