বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাসা থেকে ইয়াবার চালান উদ্ধারের পর পালিয়ে থাকা সেই এসআই অবশেষে আদালতে হাজির হলেন। মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত এসআই খন্দকার সাইফ উদ্দিন গতকাল বুধবার আদালতে আত্মসর্ম্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন জানান, সাইফ উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর পঞ্চম বিচারিক হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি বলেন, ইয়াবা উদ্ধারের পর সাইফ পলাতক ছিলেন। ছয় মাস পর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। গত বছরের ৩০ জুলাই রাতে নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ার তুলাতলী হাফেজ নগর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৪ হাজার ১০০ ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। র্যাব কর্মকর্তারা তখন জানিয়েছিলেন, তৎকালীন চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও বাকলিয়া থানার এসআই খন্দকার সাইফ উদ্দিন বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। বাসা থেকে কয়েকটি লাগেজ, এসআই সাইফের ব্যবহার করা পুলিশের পোশাক, হাতকড়ার কভারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বই জব্দ করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় বাড়ির মালিকের ছেলে মিল্লাতকে গ্রেফতার করে র্যাব। অসুস্থতাবোধ করায় এসআই সাইফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় পরদিন বাকলিয়া থানায় র্যাব-৭ এর ডিএডি নাজমুল হুদা মামলা করেন। মামলায় মিল্লাতকে গ্রেফতার আর এসআই সাইফকে পলাতক দেখানো হয়েছিল। জানা যায়, তিনতলা ভবনের নিচ তলার বাসাটি মাসিক আট হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন এসআই সাইফ। তার আগে চাক্তাই ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। বাসাটি তারা ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন। পাশপাশি চলতো মাদক ব্যবসা। কর্ণফুলী সেতু এলাকায় চেকপোস্টে চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লোকজনকে হয়রানি করতেন বলে অভিযোগ ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।