Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছিলেন ক্ষণজন্মা আলেম ও জীবন্ত ইতিহাস

তাঁর কর্ম ও ত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে : এ এম এম বাহাউদ্দীন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছিলেন এক ক্ষণজম্মা আলেম ও জীবন্ত ইতিহাস। তিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক এবং নেতৃত্ব ও সেবার প্রেরণা। তিনি ছিলেন সদালাপী, বন্ধু বৎসল্য, অতিথিপরায়ণ। উদার ও অমায়িক এ মানুষটির সান্নিধ্যে এসে যে কেউই মুগ্ধ না হয়ে পারতেন না। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-এর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মিলনায়তনে আয়োজিত ঈছালে ছাওয়াব মাহফিলে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের সভাপতি এবং দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশের অসংখ্য স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার অধিকার বঞ্চিত হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম. এ মান্নান যে কর্ম ও ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। তিনি বলেন, ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধেয় পথিকৃত ছিলেন মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)। তার প্রতিষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, দৈনিক ইনকিলাব ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্স যুগযুগ ধরে ইসলাম, ওলামা-মাশায়েখ এবং গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক ও জমিয়াতের সিনিয়ার সহ-সভাপতি মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান-এর বদান্যতা ও উদারহস্তের অবারিত দানে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ। আত্মপ্রত্যয়ী, নির্ভীক, অধ্যাবসায়ী, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর অক্লান্ত কর্মী পুরুষ মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) এক জীবন্ত ইতিহাস। দেশ-বিদেশে বহু সংবর্ধনা ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। পৃথিবীর বহু মুসলিম দেশের সাথে মরহুমের ছিল আন্তরিক সম্পর্ক।
জমিয়াত কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলহাজ্ব প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান ছিলেন বহু প্রতিভার অধিকারী ক্ষণজন্মা একজন বড় মাপের আলেম। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে চিন্তাকরলে তিনি ছিলেন একজন উঁচু মাপের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। তাঁর আচার-আচরণ ছিল সুন্নতে রাসুল (সঃ) এ ভরপুর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল বড় বড় দরবার, খানকা, পীর-মাশায়েখ এবং ইসলামি রাজনৈতিক অঙ্গনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে হুজুরের সম্পর্ক ছিল গভীর। সকলেই হুজুরকে আপন মনে করতেন। জাতীয় জিবনে অনেক সঙ্কটে তিনি ইসলামী নেতৃবৃদ এবং ওলামা-মাশায়েখগণকে যথাযথ দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবন সংগ্রামের অধিকারী একজন সফল মানুষ। জাতি, ধর্ম, দেশ ও সমাজের জন্য তিনি আজীবন কর্তব্য পালন করে গেছেন। এদশের সচেতন সমাজ মরহুমকে কখনই ভুলবে না। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) শিক্ষা উন্নয়ন এবং শিক্ষক সমাজকে প্রতিষ্ঠা করাসহ সাহিত্য সাংবাদিকতায় পথ রচনা করে গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাব, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের তিন দশকের অবদান জাতীকে সমৃদ্ধ করে যাবে নিরন্তন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ঈসালে সওয়াব মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব মাওলানা ফারুক, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, প্রিন্সিপ্যাল ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল-মারুফ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মোঃ এজহারুল হক, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু ইউসুফ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছাদেক হাসান, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা তাজুল আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ হেলাল উদ্দীন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আতিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা রেজাউল হক, আলহাজ্ব ড. নাসির উদ্দীন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা গোলাম মাওলানা প্রমুখ। আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, জমিয়াত সিনিয়ার সহ-সভাপতি ও নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাব আলহাজ্ব মাওলানা রূহুল আমীন খান।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রী মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-এর ১৩তম ইন্তেকাল বার্ষিকীতে গতকাল বুধবার বাদ মাগরিব চট্টগ্রাম ব্যুরোর উদ্যোগে দোয়া মাহফিল নগরীর এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মাওলানা মীর মোহাম্মদ রাশেদুল আলম। এতে দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শফিউল আলম, সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম সেলিম, ম্যানেজার (বিজ্ঞাপন) আনোয়ার সাদাত মুরাদ, স্টাফ ফটোগ্রাফার মনিরুদ্দীন হাসান, ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন সিদ্দিকীসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি শরিক হন।
এছাড়া চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ ও কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসার সম্মেলন কক্ষে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের পীর প্রিন্সিপাল শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী ছাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাওলানা আব্দুল মান্নান (রহ.) ছিলেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক গবেষক, জাতির বিবেকের বলিষ্ট কন্ঠস্বর। সত্যকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বহুল প্রচারিত “দৈনিক ইনকিলাব”। মাদরাসা শিক্ষার ভিত মজবুত করার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। যতদিন মাদরাসা শিক্ষা বাংলার জমিনে থাকবে ততদিন মুসলিম মিল্লাত তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র সদস্য হযরতুলহাজ¦ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ সোলায়মান তালুকদারসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম আহমদী, আল্লামা কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, আল্লামা মুহাম্মদ মমতাজুল হক নূরী, আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমানসহ মাদরাসার শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। ওফাতবার্ষিকীর কর্মসূচি হিসেবে ছিল পবিত্র খতমে কোরআন, খতমে খাজেগান, খতমে শেফা, তাহলিল এবং আলোচনা সভা।
পরিশেষে মিলাদ ও কিয়ামের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজমের রূহানী নজর ও ফুয়ুজাত কামনা এবং বিশেষ করে মাওলানা আব্দুল মান্নান (রহ.) এর মাগফেরাত, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীনের দীর্ঘায়ু ও দৈনিক ইনকিলাবের উত্তোরত্তর সফলতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি ফখরুল ইসলাম ও মহাসচিব ইয়ামিন হুসাইন আজমী এক বিবৃতিতে বলেছেন, মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছিলেন বাংলাদেশে ঐক্য বিপ্লব ও সাংবাদিকতার প্রধা। দৈনিক ইনকিলাব তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বহু মাত্রিক গুণের সমষ্টিগত নাম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)। যদি পলিটিক্স থিওরিতে তার প্রতি দৃষ্টি দেয়া হয় তাহলে দেখা যাবে পলিটিক্স ফিল্ডে তিনি এক পাক্কা শাহ সওয়ার। এম এ মান্নান (রহ.) একজন কিংবদন্তী পুরুষ। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বর্তমানে ইসলামী রাজনীতিতে মাওলানা এম এ মান্নানের প্রয়োজন মিটে যায়নি। বাংলাদেশে আরেক জন মাওলানা এমএ মান্নানের খুব প্রয়োজন। নেতৃদ্বয়, মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর রুহের মাগফেরাত ও জান্নাতের উচ্চ মাকাম কামনা করেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলাস্থ ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসায় ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসায় আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ড. মাহবুবুর রহমান বলেন মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি শিক্ষক সমাজ ও মাদরাসা শিক্ষার প্রসারে যে অবদান রেখে গেছেন তা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতী এইচ এম আনোয়ার মোল্লা, প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মমিনুল ইসলাম খান, প্রবীণ ওস্তাদ ক্বারী মাওলানা মাহবুবুর রহমান। আলোচকরা তাদের আলোচনায় মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান রাহমাতুল্লাহি আলাইহির শিক্ষা ও সমাজ সেবায় বিভিন্ন অবদান তুলে ধরেন। আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মাদরাসার ফকীহ, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হযরত মাওলানা হেলাল উদ্দীন আল কাদেরী।



 

Show all comments
  • রিদওয়ান ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
    মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবকে আল্লাহতায়ালা উচ্চপর্যায়ের শিক্ষা, মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা দিয়ে ছিলেন। মাদরাসা শিক্ষকসহ সমগ্র শিক্ষক সমাজের হৃদয়ের স্পন্দন ছিলেন তিনি। মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব দেশে ও ইসলামী বিশ্বের সকল রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। তিনি সকল প্রতিকূলতা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। প্রকৃত অর্থে মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবের তুলনা তিনি নিজেই।
    Total Reply(0) Reply
  • তাসলিমা বেগম ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী, মসজিদে গাউছুল আজম ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক, বিচক্ষণ রাজনীতিক এক মহান ব্যক্তিত্ব। তার দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা ছিল বিরল। মহান আল্লাহ প্রিয় এই ব্যক্তিটিকে জান্নাতবাসী করুন। আমীন।
    Total Reply(0) Reply
  • Habibur Rahman ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
    জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশের আলেম সমাজ মরহুম এম এ মান্নানের মতো একজন বিচক্ষণ ব্যক্তির খুব বেশিই অভাব বোধ করছে। আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে উচু স্থান দান করুন। আমীন।
    Total Reply(0) Reply
  • সাদ বিন জাফর ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
    মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবকে আল্লাহতায়ালা উচ্চপর্যায়ের শিক্ষা, মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা দিয়ে ছিলেন। মাদরাসা শিক্ষকসহ সমগ্র শিক্ষক সমাজের হৃদয়ের স্পন্দন ছিলেন তিনি। মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব দেশে ও ইসলামী বিশ্বের সকল রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। তিনি সকল প্রতিকূলতা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। প্রকৃত অর্থে মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবের তুলনা তিনি নিজেই।
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুল ইসলাম তৌকির ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
    আল্লাহ মরহুমকে জান্নাতে উঁচু মাকাম দান করুন। দেশের অসংখ্য স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার অধিকার বঞ্চিত হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। তিনি আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ ও শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধেয় পথিকৃৎ ছিলেন। উনাদের পক্ষ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত ঈসালে সওয়াব মরহুমের নিকট পৌঁছাতে থাকবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আরাফাত হোসেন রবিন ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    প্রিয় মাওলানা মরহুম এম এ মান্নান (রহ.) কেবল একটি নাম নয়, একটি চেতনা, একটি নেতৃত্ব এবং একটি সাধনার প্রতীক। তিনি ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী প্রথিতযশা মহাক্কেক। তিনি ছিলেন এক খানদানী ঐতিহ্যের অধিকারী ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব, একটি ইতিহাস ও চেতনা। এদেশের আলেম সমাজ কাকে সবসময় স্মরণ করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • M.M. Atikol Islam ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান মানুষে জন্য দুনিয়াতে যে খেদমত করে গেছেন সে কর্মসমূহের সওয়াব নিয়মিত পৌঁছাতে থাকবে, ইনশায়াল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • amir ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    মাওলানা মান্নান জাতীয় দুর্যোগ মূহূর্তে নানানভাবে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। মাদরাসা শিক্ষাসহ শিক্ষাব্যস্থার উন্নয়ন, ওলামায়েকেরামের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন। আল্লাহ তাকে উত্তম পুরস্কার দিন।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ সোহেল ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    শুকরিয়া। মাওলানা সাবের বিশেষ অবদানের মধ্যে রয়েছে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, লাখ লাখ মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এবং দৈনিক ইনকিলাব। তার এই সব নেক কাজের আজীবন সওয়াব পেতে থাকবেন ইনশায়াল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • নুরুল আবছার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা মরহুমকে জান্নাতবাসী করুন। তার খেদমতকে কবুল করে দেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করুন। আমীন।
    Total Reply(0) Reply
  • Nabil Mohammed Javed ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    Late Maulana M.A. Mannan united all the teachers and staffs of the Madrasas gaving them a life afresh and inspired them with new spirit. The rulers of the country thus able to understand the need and historical importance of the Madrasa Educations
    Total Reply(0) Reply
  • তাহমিদ ফেরদৌস ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    I believe Alhaj Maulana M.A. Mannan, one of the topmost Alim of our country and he was a legendary person. May Allah give him Jannah.
    Total Reply(0) Reply
  • সাহেদ শফি ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
    মাওলানা মান্নান সাহেবের প্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রিয় পত্রিকা ইনকিলাব ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছে। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা এর প্রতিদান দেবেন, তার প্রতিষ্ঠানকে কবুল করবেন। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • জামান চৌধুরী ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪২ পিএম says : 0
    দৈনিক ইনকিলাব প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আবদুল মতিন ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪২ পিএম says : 0
    দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ হজরত মাওলানা এম. এ. মান্নান (রহঃ) যেভাবে এ দেশের ইসলাম, মুসলমান ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য কাজ করে গেছেন ঠিক একইভাবে তার সুযোগ্য সন্তান এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবেও কাজ করছেন। এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি, এই পরিবার ও তাদের সকল কর্মকাণ্ডের প্রতি তিনি যেন রহমত ও বরকত দান করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • রোমান কবির ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪৩ পিএম says : 0
    রোজ কেয়ামত পর্যন্ত যেন মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-এর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাবের এই সিলসিলা জারি থাকে- মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে সেটাই প্রার্থনা করি।
    Total Reply(0) Reply
  • শামসুল আলম ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৭:০২ পিএম says : 0
    বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ইসলামী চেতনাভিত্তিক ইনকিলাবের ন্যায় পত্রিকার সফলতা ছিল প্রায় অসম্ভব এবং অপ্রত্যাশিত। মাওলানা আবদুল মান্নান এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। সর্বগ্রাসী হতাশার দিগন্তে ইসলামী চেতনাসম্পন্নদের নিকট মাওলানা আবদুল মান্নান উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক।
    Total Reply(0) Reply
  • সোহরাব ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৭:০২ পিএম says : 0
    জাতির এই ক্রান্তিকালে তার মত নেতার খুব প্রয়োজন ছিলো।
    Total Reply(0) Reply
  • সফিক আহমেদ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৭:০৪ পিএম says : 0
    সামগ্রিক আলীয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সংরক্ষণ এবং উন্নয়নে মরহুম মাওলানা আবদুল মান্নানের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালা মরহুম মাওলানা আবদুল মান্নানকে মাদ্রাসা শিক্ষায় তার চির স্মরণীয় অবদানের জন্য তাকে পরকালে যথাযথ জাজায়ে খায়ের নসিব করুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এ এম এম বাহাউদ্দীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ