Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

ফাইনালে যেতে কুমিল্লার চাই ১৬৬

স্পোটর্স রিপোর্টার, মিরপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৫৬ পিএম | আপডেট : ১০:০৬ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

অনেকটা সময় ক্রিজে কাটালেও প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারলেন না ক্রিস গেইল। ছন্দে থাকা রাইলি রুশোও চড়াও হতে পারলেন না বোলারদের ওপর। তবে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ এক ফিফটিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে রংপুর রাইডার্সকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন বেনি হাওয়েল। আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে শিরোপাধারী রংপুর।

জবাবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় ভিক্টোরিয়ান্স। এভিন লুইস খেলেন হার না মানা ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস। ১৫ বলে চারটি চার ও ২ ছক্কায় অনবদ্য ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলের বড় জয় নিশ্বিত করেন শামসুর রহমার শুভ।

ফাইনালে যেতে কুমিল্লার দরকার ছিল ১৬৬ রান। সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল ইমরুল কায়েসের দলের। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে এসেছে ৪৪। দুর্দান্ত শুরুর পর তামিমকে হারায় দলটি। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় দেশসেরা এই ওপেনারকে (১৭) হাওয়েলের তালুবন্ধী করান মাশরাফি।

এরপর এভিন লুইসের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে টেনে নিচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। তবে শফিউল উসলামের বলে বোল্ড জবার আগে ৩৯ রানে থামে বিজয়রথ। ৩২ বলে েএই ওপেনারের ইনিংসটি দুটি করে চার-ছক্কায় সাজানো।

একপাশ আগলে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন লুইস। ফিফটি তুলে অপরাজিত ছিলেন ৭১ রানে। তবে জয় তরাণ্বিত করেছেন শামসুর।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। বলতে গেলে শুরু থেকে ব্যাটিং দানবকে স্বাচ্ছন্দে খেলতে দেননি কুমিল্লা বোলাররা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আশাতীত রানও পায়নি রংপুর। উল্টো খুইয়ে বসে দুই উইকেট। মেহেদী মারুফ (১) আর মোহাম্মদ মিঠুনকে (৩) হারিয়ে অথৈ পাথারে পড়া রংপুরকে বড় লিড এনে দিতে দেখে শুনে ব্যাট চালাচ্ছিলেন গেইল। রানের জন্য ছটফট করতে যেয়েই বাধিয়ে বসেন বিপত্তি। মারতে গিয়েই দু’বার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেন নি, ফিরে যান ৪৬ রানে।

এর আগের ওভারেই ফিরে যেতে পারতেন ব্যাটিং দানব। সেবার তাকে জীবন দিয়েছেন মেহেদী হাসান। সঞ্জিত সাহার বলে লং অনে বল তুলেছিলেন ক্যারিবিয় দানব। তবে হাতে নিয়েও জমাতে পারেন নি কুমিল্লার এই উদীয়মান অলরাউন্ডার। মজার ব্যপার হচ্ছে, পরের ওভারে বল করতে এসে নিজেই শিকারীর ভুমিকায় মেহেদী। সেই একই জায়গায় অনেকটা উঁচুতে তোলা বল এ যাত্রায় তালুবন্দী করতে ভুল করেন নি থিসারা পেরেরা। তার ৪৪ বলে ৪৬ রানের ধীর ইনিংসটি ৬টি চার ও মাত্র একটি ছক্কায় সাজানো।

গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও ভালো হয়নি কুমিল্লার। হাত ফস্কে হয়েছে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি। সেই সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে রুশোর সঙ্গে ৭৬ রানের জুটিতে দলকে পথ দেখান হাওয়েল। ২৮ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। ৩১ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৪ রান করে ফিরেন রুশো।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রংপুর পায়নি দলের দুই ব্যাটিং ভরসা এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং অ্যালেক্স হেলসকে। চুক্তি অনুযায়ী ৬ ম্যাচ খেলেই দেলে পথে পাড়ি জমিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা। আর রাজশাহী ম্যাচে পাওয়া কাঁধের ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরে গেছেন ইংলিশ ওপেনার হেলস। তাদের জায়গায় এই ম্যাচে সুযোগ হয়েছে মেহেদী মারুফ আর সোহাগ গাজীর।

যদিও রংপুরের ব্যাটিং লাইনআপ এখনও সমৃদ্ধ রাইলি রুশো আর ক্রিস গেইলের উপস্থিতিতে। দলের দুই তারকার অবর্তমানে সুযোগ থাকছে ক্যাবিয়ান দানব গেইলের কিছু একটা করে দেখানোর।

গেইল-রুশোকে দ্রুত ফিরিয়ে সরাসরি ফাইনালে খেলার সুযোগ থাকছে কুমিল্লারও। সে লক্ষ্যে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে অবশ্যই জ্বলে উঠতে হবে বুমবুম তারকা শহিদ আফ্রিদী, এভিন লুইস আর থিসারা পেরেরাকে। দলে আছে ৪টি পরিবর্তন। 

উইকেট নিয়ে পিচ রিপোর্টার ডিন জোন্স বলেছেন, ‘এটি ১৬০+ রানের উইকেট’। টস জিতে রংপুর অধিনায়ক মাশরাফির ভাষ্যও একই, ‘রান যেমনই হোক, চাপের ম্যাচে আগে ব্যাট করাই শ্রেয়। যদিও আরেকটি সুযোগ আছে। তবে আজই আমরা ফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই।’ টস জিতে নিজেও বোলিংয়ের যেতেন বলে জানান কুমিল্লা দলপতি ইমরুল, ‘সন্ধ্যায় শিশিরের কথা ভেবে টস জিতে আমরাও বোলিংয়ে যেতাম।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ