নির্বাচনের দিন নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ এসল্ট মামলায় হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলদল সভাপতিসহ ১৪
বিএনপি নেতাকর্মীকে করাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। একই মামলায় আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। হবিগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল হক চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
কারাগারে যাওয়া আসামীরা হলেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক এমরান, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ছামিউল বাছিত, এমানুল হক এনাম, মামুন মিয়া, শাহীন মিয়া, শাহরিয়ার সৌরভ, আব্দুল বশির, আবুল হাসান, হোসেন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম আমীন, আব্দুস শহীদ, এমানুল হক বাবুল, কফিল উদ্দিন ও আফিল উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেতৈয়া ভোট কেন্দ্রে নাশকতার অভিযোগ এনে সদর মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দিলীপ বড়ুয়া বাদী হয়ে
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৯৫ নেতাকর্মীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীদের মধ্যে ১৬ জন হাইকোর্টে জামিন প্রার্থনা করলে ৪ সপ্তাহ পর নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ১৪ জন হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন প্রার্থনা করেন।
একই মামলায়
বিএনপি নেতা শামীম মিয়া, জহিরুল ইসলাম, হেলিম মিয়া জসিম মিয়া ও আব্দুর রহমানের পক্ষে জামিনের সময় প্রার্থনা করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ৩১ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর চালিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে চায় আসামীরা। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশ সদস্যদেরকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার ও অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটুসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট আশরাফুল বারী নোমানসহ আইনজীবীরা মামলা পরিচালনা করেন।