বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও পাক্ষিক পেকুয়ার সম্পাদক ছফওয়ানুল করিমকে জামিন দেয়নি আদালত। উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ‘ফ্রেশ বেইলে’র আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালিন পেকুয়া থানায় দায়ের করা দু’টি বিস্ফোরক ও ভাংচুর মামলায় সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিমকেও আসামি করা হয়েছিল। ছফওয়ানুল করিম ও তার পরিবার দু’টি মামলার কোন ঘটনাতেই তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছিল। তাদের মতে দু’টি মামলাতেই প্রতিহিংসাবশত ও রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করার জন্যই ওই মামলাগুলোতে তাকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব কুমার দেবের আদালতে দু’টি মামলাতেই জামিনের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে ছফওয়ানুল করিমকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অবশ্য ইতিপূর্বে এই ধরণের মামলায় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা জামিন না পেয়ে কারাগারে গেছেন।
সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালিন ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পেকুয়া থানায় বিস্ফোরক ও ভাংচুর করার অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা রুজু হয়। পেকুয়া থানার ১২ (জিআর ২১৭) ও ১৭ (জিআর ২২২) নাম্বার মামলা দু’টিতেই পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. ছফওয়ানুল করিমকে আসামি করা হয়। পরে ছফওয়ানুল করিম হাইকোর্টে ২৫৬৬ নাম্বার মিচ মামলা করে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
হাইকোর্টের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ‘ফ্রেশ বেইলে’র জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিমকে কারাগারে পাঠান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।