পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার রজত জয়ন্তীর আগেই সংবিধানের আলোকে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় জনগনকে সচেতনভাবে ভুমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আইনের শাসন না থাকলে, ফ্রি স্টাইলে লুটপাট চলতে থাকলে সেখানে গণতন্ত্র চলতে পারে না। এ প্রসঙ্গে তিনি পুলিশের ভুমিকা তুলে ধরে বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অবশ্যই পুলিশের ভ‚মিকা আছে। সবাই চায় পুলিশ তার আইন মেনে দায়িত্ব পালন করুক। দেশের জনগণকে শ্রদ্ধা করুক, কারণ জনগণ ক্ষমতার মালিক। গতকাল গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিক-এর স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, আমি আজকে কোনো বিরোধের কথা বলতে চাই না। আমি আজকে ঐক্যমতের কথা বলতে চাই এবং সেই ঐক্যমত হলো পুলিশ পুলিশ হিসেবে তাদের দায়িত্ব করবে। গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশের যে একটা ভুমিকা সেটা তারা দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করবে। এই দায়িত্বশীল ভুমিকা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র চলতে পারে না যদি ফ্রি স্টাইলে লুটপাট হতে থাকে। পুলিশের অবশ্যই ভুমিকা থাকবে। তাদেরকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলাকে রক্ষা করা, জনগনকে রক্ষা করা, জনগনের অধিকারকে রক্ষা করা। জনগনকে কোনোভাবে আক্রমন না করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দায়িত্ব পালন করা এটাই সংবিধানে লেখা আছে, এই কথাই বঙ্গবন্ধুর কথা।
ড. কামাল বলেন, যদি নির্বাচনে গলদ থাকে, নির্বাচন বিতর্কিত হলে সেখানে একটা সমস্যা সৃষ্টি অবশ্যই হয় আমরা সেটা দেখেছি। আজকে তো ৪৮ বছর হতে চলেছে। ২০২১ সালে ৫০ বছর হবে। এখন থেকে দুই বছরের মধ্যে আমাদের সবাইকে নাগরিক হিসেবে সর্তক ও সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এখানে যে সরকার দায়িত্ব ভোগ করবে তারা যেন সংবিধানের ভিত্তিতে সেই দায়িত্ব নেয় এবং সংবিধানে যে দায়িত্ব কর্তৃব্য রয়েছে সেটা পালন করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত সংবিধানে রয়েছে এক নম্বর- দেশে কার্যকর গণতন্ত্র থাকতে হবে। কার্যকর গণতন্ত্র মানে নামকা ওয়াস্তে গণতন্ত্র নয়। কার্যকর গণতন্ত্রের অর্থ হলো আপনারা সকলে অনুভব করবেন যে, আমরা ভোটের মাধ্যমে আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছি। আমরা তো মালিকের মতো ভুমিকা রাখতে পারছি, আমাদের কথাকে দাম দেয়া হচ্ছে। আপনি নিশ্চয় চান দেশের সুশাসন হোক, আইন শাসন হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে হবে। অর্থাৎ নির্বাচনকে গুরুত্ব দিতে হবে।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, আমরা সাধারণত বিরোধী দল হিসেবে সরকারকে ধোলাই করি। আজকে আমি যেটা করবো না। আমি কথা বলছি সংবিধানে দেখে। সেখানে যে কথাগুলো আছে আমি এটা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সরকার এটাকে বির্তকের মধ্যে টানতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত কথাকে সরকার অমান্য করতে পারে না। সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বলছি আমি যে কথাগুলোকে বলছি সেটা বঙ্গবন্ধুর কথা, উনার স্বাক্ষরিত দলিলের কথা। উনি বলেছেন জনগন ক্ষমতার মালিক। জনগনের যান-মালের নিরাপত্তা বিধান করবে রাষ্ট্র ও সরকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথাগুলো উনি সংবিধানে দিয়ে গেছেন। আমাদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে গেছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে। আমি তো মনে করি বঙ্গবন্ধুর কথা সকলকে মানতেই হবে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে মানতে হবে। তার কথার ওপরে কেউ নেই।
মতিঝিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মরহুম সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। আলোচনার শুরুতে মরহুম নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে নেতা-কর্মীরা। এর আগে সকাল ৮টায় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় গণফোরাম নেতৃবৃন্দ।
ড. কামালের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক আহমেদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় নির্বাহী সভাপতি মফিজুল ইসলাম কামাল, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, আমসা আমিন, মোকাব্বির খান, কেন্দ্রীয় নেতা আওম শফিকউল্লাহ্, সাইদুর রহমান সাঈদ, আবদুল মোমিন চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম পথিক, খান সিদ্দিকুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন চুন্নু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।