পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষিপণ্য পরিবহনে চারটি বিশেষায়িত ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দেশের চারটি অঞ্চল থেকে যাত্রা করে এসব ট্রেন এসে মিলবে ঢাকার তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে। রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশে সহজ পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই ট্রেনগুলো চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এজন্য ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকায় কৃষিজাত পণ্যের ৩৫ শতাংশের মতো আসে যশোর অঞ্চল থেকে। একইভাবে ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে আসে প্রায় ৩০ শতাংশ। সাভার-মুন্সীগঞ্জ এলাকা থেকে আসে আরো ৩০ শতাংশ। এর বাইরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকেও বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য রাজধানীতে আসে।
পণ্যবাহী নতুন ট্রেনগুলো চালুর ক্ষেত্রে তাই এসব অঞ্চলকে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। খুলনা থেকে যশোর হয়ে ঢাকা আসবে একটি ট্রেন। আরেকটি ট্রেন আসবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। এ দুটি ট্রেনকে যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে আসতে হবে। তবে পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি শেষ হলে একটি ট্রেন মাওয়া হয়ে সরাসরি ঢাকায় আসতে পারবে। আরেকটি ট্রেন পরিচালনা করা হবে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে। চতুর্থ ট্রেনটির উৎসস্থল হবে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ। পরবর্তী সময়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকেও একই ধরনের ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেবে রেলওয়ে।
ট্রেনগুলোতে শাকসবজি পরিবহনের জন্য থাকবে সাধারণ ভ্যান। আর মাছ, মাংস, দুধসহ হিমায়িত খাদ্য পরিবহনের জন্য থাকবে রেফ্রিজারেটেড ভ্যান। বিশেষায়িত ট্রেনগুলো চালুর লক্ষ্যে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে। কেনার প্রক্রিয়ায় থাকা লাগেজ ভ্যানগুলোর মধ্যে ৫০টি ব্রড গেজ ও ৭৫টি মিটার গেজ।
সূত্র জানায়, লাগেজ ভ্যানগুলো কেনা হচ্ছে রেলওয়ের ‘রোলিং স্টক অপারেশনস ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার। দরপত্র অনুযায়ী, সরবরাহকারী/নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের ২০ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে ভ্যানগুলো বাংলাদেশ এসে পৌঁছবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দরপত্র কার্যক্রম সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্তের কাজ শেষ হবে। এর পরপরই নির্মাতা/সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হবে।
এ প্রসঙ্গে রেলেওয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশ থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য রাজধানীতে আসে। সড়কপথে এসব পণ্য পরিবহন তুলনামূলক ব্যয়বহুল। আবার যানজটসহ বিভিন্ন কারণে এর একটা বড় অংশ অপচয়ও হয়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে অল্প খরচে সহজে কৃষিপণ্য পরিবহনের সুযোগ করে দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ। এজন্য আমরা এডিবির অর্থায়নে ৫০টি ব্রড গেজ লাগেজ ভ্যান ও ৭৫টি মিটার গেজ লাগেজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। টেকনিক্যাল সাবকমিটির মাধ্যমে কারিগরি বিষয়গুলোর মূল্যায়ন চলছে। পাশাপাশি প্রতিটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে অতিরিক্ত লাগেজ ভ্যান লাগানো হবে। যেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষিপণ্য ঢাকায় আসতে পারে। সারা দেশ থেকে আসা এসব কৃষিপণ্যের প্রধান গন্তব্য হবে তেজগাঁও রেলস্টেশন।
১৯৭০-এর দশকে বাংলাদেশে কৃষিপণ্য পরিবহনে অন্যতম প্রধান বাহন ছিল রেলপথ। সে সময় কাঁচা পাট, তুলা, ডাল, মসলা, তেলবীজ, গম, অন্যান্য খাদ্যশস্য, লবণ, চিনি, আখ, চা, উদ্ভিজ্জ তেলসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য পরিবহন করা হতো ট্রেনে। বর্তমানে ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহন বলতে গেলে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সূত্র বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শুধু ৭১ টন খাদ্যশস্য ও প্রায় তিন টন চা ছাড়া আর কোনো কৃষিপণ্যই পরিবহন করা হয়নি। স্বভাবতই কৃষিপণ্য পরিবহন থেকে আয় কমেছে সংস্থাটির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।