রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বগুড়ার আদমদীঘিতে সরকারি চাল সংগ্রহ বরাদ্দে লুটপাট হয়েছে। যেসব চাতাল মিল বন্ধ বা অস্তিত্ব নেই তারপরও ওইসব মিলের নাম তালিকায় বসিয়ে শত শত মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওইসব মিল মালিকসহ অনেক মালিক সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ না করে বরাদ্দগুলো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জন্য চলতি রোপা আমন সংগ্রহ অভিযানে এই উপজেলায় ২২২টি চাতাল মিল মালিকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ৭ হাজার ৭’শো ৬৯ মেট্রিকটন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কয়েক বছর ধরে কতিপয় চাল ব্যবসায়ী সরকারি বরাদ্দ কিনে বাজার থেকে নিম্নমানের চাল ক্রয় করে সরকারি গুদামে সরবরাহ করে আসছে। এর সাথে জড়িত রয়েছে এক শ্রেণীর মিল মালিকরা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মিল মালিক কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা ধান থেকে চাল উৎপাদন করে সরকারের সাথে চুক্তি মোতাবেক বরাদ্দকৃত চাল গুদামে সরবরাহ করবে, তবে ব্যবসায়ীরা সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে বাজার থেকে ক্রয়করা চাল গুদামে সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার পৌরসভা এলাকাসহ অশেপাশের বাজারে চালের মূল্য কমে যাওয়ায় মন্দা ব্যবসার কারণে স্থানীয় চাতাল মিল মালিকরা অনেকে মিল বন্ধ করে রেখেছে আবার অনেকে মিল ভাড়া দিয়েছে। সম্প্রতি রোপা আমন সরকারি চাল সংগ্রহের অভিযানে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক যাচাই-বাছাই না করে রহস্যজনক ভাবে ওইসব মিল মালিকদের ভূয়া বরাদ্দ দিয়েছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর ওইসব মিল মালিকরা সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বরাদ্দগুলো ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে করে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করছে। ফলে ব্যবসায়ীরা ও বাজার থেকে চাল ক্রয় করে স্থানীয় গুদাম কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে সান্তাহার কেন্দ্রীয় খ্যাদ্যগুদামসহ স্থানীয় গুদামগুলোতে অতি নিম্মমানের চালসহ পুরাতন চাল সরবরাহ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে উপজেলার নশৎপুর এলএস ডি গুদামে ।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত কয়েক দিন আগে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডি ফুড ও আর সি ফুড) ওই গুদাম পরির্দশন করেন। বছরের পর বছর ধরে রোপা আমন ও ইরিবোরো মৌসুমের সময় বন্ধ চাতাল মিল মালিকরা সরকারি চাল সংগ্রহের বরাদ্দ নিয়ে নিজে গুদামে সরবরাহ না করে চাল ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে আসলে ও তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক শাহনেওয়াজ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন সরবরাহের সময় সামান্য কিছু অনিয়ম হতে পারে আবার নাও হতে পারে। সেটা আমার জানার বাহিরে। একজনের চাল আরেক জন সরবরাহ করছে সেই অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও যেহেতু কাগজপত্রে মিল মালিকের স্বাক্ষর থাকছে এতে আমাদের কিছু বলার বা করার নেই। গুদাম কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দেওয়া আছে চালের গুণগত মান দেখে গুদামে চাল নেওয়া হচ্ছে। বন্ধ মিলের নামে দেওয়া বরাদ্দ দেওয়া ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি।
উপজেলার নশৎপুর এল এস ডি গুদামের ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি কর্মস্থল থেকে গাবতলী নিজ বাড়ীতে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।