পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেরিন ড্রাইভের সংযোগ সড়কে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এ কারণে সড়ক বন্ধ থাকবে তিন মাস। বিকল্প সড়ক না থাকায় সমস্যা হচ্ছে স্থানীয়দের। পর্যটন শহর কক্সবাজারের কলাতলীর ডলপিন মোড় থেকে বেলী হ্যাচারী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
এতে করে আগামী তিন মাস এই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ২ ফেব্রুয়ারি এই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
জানা গেছে, মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাবমেরিন ক্যাবল লেন্ডিং স্টেশন থেকে বেলী হ্যাচারী পর্যন্ত সড়কের মূল অংশটি সাগরের করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যায়। ওই অংশটি এখনও সংস্কার করা যায়নি। পর্যটকসহ এই সড়কে চলাচলকারীদের কষ্ট লাঘবে কক্সবাজার পৌরসভা নিজস্ব অর্থায়নে কলাতলীর ডলপিন মোড় থেকে বেলী হ্যাচারী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এ প্রসঙ্গ কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, পর্যটকসহ এই সড়কে চলাচলকারীদের কষ্ট লাঘবে কক্সবাজার পৌরসভা নিজস্ব অর্থায়নে সাড়ে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে এই সংস্কার কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, পর্যটন নগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এই অংশটি দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন পড়ে থাকায় পর্যটকসহ এই সড়কে চলাচলকারীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এর কাজ শুরু করা হয়েছে। সংস্কার কাজ চলাকালীন সময়ে লিংক রোড দিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ব্যবহারের জন্য তিনি সবাইকে পরামর্শ দেন। এতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে সাময়িক কষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন মেয়র মুজিবুর রহমান।
১৯৯১-৯২ সালে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন মেয়াদে এপর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়। ২০১৭ সালের ৬ মে বাংলাদেশের গর্ব দীর্ঘ এই সড়কটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে ৮০ কিলোমিটার সড়কটি উন্মুক্ত হয় দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয়দের জন্য। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত আরাকান সড়কটি রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা কারণে এখন মহাব্যস্ত শুধু নয় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজটে নাকাল থাকে সড়কটি। তাই ভিভিআইপি, ভিআইপি ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ব্যবহার করে থাকেন মেরিন ড্রাইভ সড়কটি।
কিন্তু মেরিন ড্রাইভ সড়কের শুরু পয়েন্ট কলাতলী থেকে বেলি হ্যাচারী পর্যন্ত ১৩শ’ মিটার সড়ক ২০০০ সাল থেকে সাগরের করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেলে আর সংস্কার করা যায়নি। এতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৫-৬ সালে ডলপিন পয়েন্ট থেকে গ্রামের ভেতর থেকে সরু সড়কটি বেলি হ্যাচারী পর্যন্ত গিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়। এপর্যন্ত এটি বিকল্প মেরিন ড্রাইভ অংশ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এদিকে সংস্কার কাজে এই সড়কটি বন্ধ থাকলে কলাতলীর দক্ষিণ অংশের অধিবাসী ও শিক্ষার্থীদের কষ্ট হবে বলে জানিয়ে সাময়িক যোগাযোগের জন্য বিকল্প পথ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও বেলি হ্যাচারী থেকে দক্ষিণে ২৪ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত গড়ে উঠেছে ঘরবাড়িসহ শত শত বাণিজ্যিক স্থাপনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।