Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ই-বর্জ্যরে কারণে প্রতিবন্ধী হচ্ছে শিশুরা

প্রতিবছর তৈরি হচ্ছে দেড় লাখ টন

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ই-বর্জ্যরে কারণে শিশুরা প্রতিবন্ধী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রযুক্তিখাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, শিশুদের প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণ হিসেবে ই-বর্জ্যকে দায়ি। খেয়াল করলে দেখবেন অনেক শিশু প্রতিবন্ধী হচ্ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে এর গভীরে যাওয়া হচ্ছে না। ই-বর্জ্যের কারণে শিশুরা যে মাত্রায় মেধাবী হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। অথচ দেশে প্রতিবছর প্রায় দেড় লাখ টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়। এসব বর্জ্যরে পুরোপুরি সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তা নানাভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এবং পরিবেশের ক্ষতি সাধন করছে। এজন্য তারা অবিলম্বে নীতিমালা ও সরকারের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানান।
গতকাল (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : বাংলাদেশের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। টিআরএনবির সভাপতি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সজলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। গোলটেবিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বৈঠকে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) জানায়, ২০১৮ সালে এক লাখ ৪২ হাজার টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে তৈরি হয় এক হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য। প্রতিবছর প্রায় চার কোটি মোবাইল ফোন আমদানি হচ্ছে জানিয়ে বিএমপিআইএ সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, ই-বর্জ্য বেশি দামে কিনলে গ্রাহকেরাও তা বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ব্যবহার বাড়বে, তাই এর ব্যবহার হ্রাসের কোনো সুযোগ নেই। কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বাড়ছে। বিগত ১০ বছরে যে পরিমাণ বেড়েছে তা এর আগে ৩০ বছরেও বাড়েনি। যত বেশি ডিজিটাল হবে তত বেশি ডিজিটাল সমস্যা তৈরি হবে।
নীতিমালার বিষয়ে তিনি বলেন, ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নীতিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। আমরা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় খুব গুরুত্ব দেব। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ মনে করা হলেও এখন তাকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এখন সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হলেও ১০ বছর পর ইউনিয়ন পরিষদকেও এ দায়িত্ব দিতে হবে। বর্জ্য যাতে সম্পূর্ণভাবে সংগ্রহ করা যায় সে জন্য একটি ‘বিজনেস প্ল্যান’ করার কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার তহবিল যদি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজে খরচ করা যায় তাহলে সমাজের উপকার হবে। মোবাইল অপারেটর রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ শিশুদের প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণ হিসেবে ই-বর্জ্যকে দায়ি করে বলেন, খেয়াল করলে দেখবেন অনেক শিশু প্রতিবন্ধী হচ্ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে এর গভীরে যাওয়া হচ্ছে না। ই-বর্জ্যের শিশুরা প্রতিবন্ধী হচ্ছে, যে মাত্রায় মেধাবী হওয়ার কথা তা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রওশন আক্তার বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি করতে গিয়ে দেখা যায়, এখানে কোনো ডেটাবেজ নেই। বর্জ্য সংগ্রহটাই বড় চ্যালেঞ্জ। গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় আরও অংশ নেন ড. সুলতান মাহমুদ, আবুল কালাম আজাদ, এবি সিদ্দিক সেলিম প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ই-বর্জ্যরে কারণে প্রতিবন্ধী হচ্ছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ