ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিয়মিত কোর্সের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নিয়মমাফিক শাস্তি অব্যাহত থাকলেও সান্ধ্য কোর্সে তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়মিত কোর্সের তুলনায় সান্ধ্য কোর্সের পরীক্ষায় অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় অনেক বেশি। এনিয়ে খোদ শিক্ষকদের মধ্যেই গ্রুপিং রয়েছে। সান্ধ্য কোর্সে নকল ধরা নিয়ে বিভাগের সভাপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সান্ধ্য কোর্সের শিক্ষার্থীরা ছোট কাগজের নকলসহ পুরো অ্যাসাইনমেন্ট কপি করে পরীক্ষার হলে নিয়ে যায়। থাকে মোবাইলও। ছোট কাগজের টুকরাগুলো মানিব্যাগসহ বিভিন্নভাবে রাখা হয়। তবে অ্যাসাইনমেন্ট এবং মোবাইল দেখলেও শিক্ষকরা সে বিষয়গুলো সঠিকভাবে তদারকি করেন না। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরাগ দেখান বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। নকল ছাড়াও সান্ধ্যাকোর্সের শিক্ষার্থীরা ছাড় পায় গড় উপস্থিতির ক্ষেত্রেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বছরে ৬০ শতাংশ উপস্থিত না হলে পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয় না। তবে এক্ষেত্রে সান্ধ্য কোর্সের শিক্ষার্থীদের ছাড় দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের এক পরিসংখ্যানে সান্ধ্য কোর্সের পরীক্ষার্থীদের ছাড় দেয়ার বিষয়টি কিছুটা পরিষ্কার হয়। সেখানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও শৃঙ্খলা বিরোধী কাজের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক বাবুল ইসলামের তথ্য মতে- এই বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সান্ধ্য কোর্সের। ৭৪ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং বাকিরা অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী।
সান্ধ্য কোর্সে নকল ধরার জন্য বিভাগের সাবেক সভাপতির পদ থেকে নাছিমা জামানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিভাগগুলোতে সান্ধ্যকার্সেও অভিযোগের পাল্লা ভারি। সেখানেও নকলের হার ভয়াবহ বলে দাবি নিয়মিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।
এ বিষয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, নকল করলে ধরা হয় না এমন অভিযোগ সত্য নয়। এটা ঠিক যে শিক্ষকদের অনুরাগ রয়েছে। তবে আমরা বলে দেই যে হয় তুমি খাতা কেটে দাও, না হয় পরীক্ষা বাতিল করো। কারণ অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারে না। সান্ধ্য কোর্সে এমন অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. বাবুল ইসলাম বলেন, বিভাগ ও কলেজগুলো থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম ও আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যে বিভাগগুলোতে সান্ধ্যকোর্স আছে সেগুলোতে শিক্ষার্থীদের ছাড় দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আমি বিভাগগুলোকে মানসম্মত শিক্ষা দেয়ার জন্য কঠোর হওয়ার জন্য শিক্ষকদের জানিয়েছি। কারও জন্য যেন অনুরাগ না থাকে এ ব্যাপারে সাবধান করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।