মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাপানে বয়স্ক মানুষের মধ্যে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার হার ক্রমে বাড়ছে। ২০ বছর ধরে দেশটিতে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী অপরাধীর হার বাড়তে দেখা গেছে। হিরোশিমায় একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রের (হাফওয়ে হাউজ- যেখানে শারীরিক, মানসিক প্রতিবন্ধীদের পাশাপাশি জেল থেকে ছাড়া পাওয়া অপরাধীরা সমাজে ফিরে যাওয়ার আগে থাকার সুযোগ পায়) এক সদস্য ৬৯ বছর বয়সী তোশিও তাকাতা। আইন ভাঙার পেছনে তিনি তার দরিদ্রতাকে দায়ী করেন। বিনা অর্থ ব্যয়ে যেকোনো স্থানে থাকতে রাজি তিনি, এমনকি সেটা যদি জেলখানাও হয়, তবু তার আপত্তি নেই। তোশিও বলেন, অবসরের বয়সসীমায় পৌঁছানোর পর আমার অর্থ শেষ হয়ে যায়। তখন আমার মনে হয়েছে জেলে গেলে হয়তো বিনা খরচে সেখানে থাকা সম্ভব হবে। তাই আমি একটা বাইসাইকেল নিয়ে সেটা চালিয়েই পুলিশ স্টেশনে যাই এবং তাদের জানাই আমি এটা চুরি করেছি। তার পরিকল্পনা কাজে দেয়। এটা ছিল তোশিওর প্রথম অপরাধ। তখন তার বয়স ছিল ৬২ বছর। আর জাপানের আদালতে ছোট চুরিও গুরুতর অপরাধের শামিল। ফলে এ সামান্য চুরির দায়ে এক বছরের কারাদন্ড হয় তোশিওর। ছোটখাটো গড়ন আর হাসিখুশি চেহারার তোশিও দেখতে মোটেও জাত অপরাধীর মতো নন। অন্তত ছুরি হাতে নারীদের ভয় দেখানোর মতো একেবারেই না। কিন্তু প্রথম সাজা কাটিয়ে আসার পর ঠিক এ কাজটিই করে বসেন তোশিও। পরের অপরাধ সম্পর্কে তোশিও বলেন, আমি একটা পার্কে যাই এবং তাদের হুমকি দিতে থাকি। কিন্তু আমার তাদের কোনো ক্ষতি করার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি কেবল একটা ছুরি দেখাচ্ছিলাম, যাতে তাদের কেউ পুলিশকে খবর দেয়। আর সত্যি একজন তা-ই করে। গত আট বছরের অর্ধেক সময় জেলেই কাটিয়েছেন তোশিও। জেলে থাকতে তার ভালো লাগে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তোশিও আরো একটি আর্থিক সুবিধার কথা জানালেন। জেলে থাকা সত্তে¡ও তার অবসর ভাতা অব্যাহত রয়েছে। তোশিও বলেন, এমন নয় যে, আমার জেলে থাকতে ভালো লাগে, কিন্তু আমি এখানে বিনামূল্যে থাকতে পারছি। আর যখন বের হচ্ছি, তখন আমার হাতে কিছু জমা অর্থও থাকছে। ফলে এটা তেমন কষ্টদায়ক নয়। তোশিওর ঘটনা মূলত জাপানের অপরাধপ্রবণতার প্রতিনিধিত্ব করছে। আইন মেনে চলা এক অসাধারণ সমাজে ৬৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে অপরাধের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।