Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিশ্রুতি রাখেনি সু চি’র সরকার : এইচআরডব্লিউ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

শান্তিপূর্ণ সমালোচকদের বিচারের মুখোমুখি করে মিয়ানমার সরকার মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ মানবাধিকার সংগঠনটি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। বলা হয়, নতুম মিয়ানমার গঠনের অঙ্গীকার সত্তে¡ও ভিন্ন মতের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে এনএলডি সরকার। মত প্রকাশ ও জনসমাগমের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং শান্তিপূর্ণ বক্তৃতাদানের বিরুদ্ধে দন্ড ঘোষণার আইন সংস্কারের জন্য মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। মিয়ানমারে টেলিযোগাযোগ আইনের ৬৬ (ডি) ধারার ব্যবহার নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা রয়েছে। কেউ সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করলে এ আইনের আওতায় তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়। তাছাড়া টেলিযোগাযোগ আইন, আনল’ফুল অ্যাসোসিয়েশন অ্যাক্ট, অফিসিয়্যাল সিক্রেট অ্যাক্ট, নিউজ মিডিয়া ল ও ১৯৩৪ এর এয়ারক্রাফট অ্যাক্ট-এর আওতায় সাংবাদিকদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। অফিসিয়্যাল সিক্রেট অ্যাক্ট ভঙ্গের দায়ে দুই রয়টার্স সাংবাদিককে সাত বছর করে কারাদন্ড প্রদানের ঘটনাটি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বিপুল সমালোচনা করে যাচ্ছে। এছাড়া মিয়ানমারে সাংবাদিকদেরকে সরকারের নীতিমালা ও কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে যেতে দেওয়া হয় না। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ৮৭ পৃষ্ঠাবিশিষ্ট প্রতিবেদনটির শিরোনাম হলো ‘আশা ভঙ্গ : মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশের অপরাধকরণ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে অ্যাক্টিভিস্ট, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর অস্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত আইনের প্রয়োগ ঘটাচ্ছে অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকার। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও অনলাইনে কেউ সরকার, সেনাবাহিনী এবং রাখাইন ও কাচিন রাজ্যে নিপীড়নের সমালোচনা করলে তাকে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক আইনি উপদেষ্টা লিন্ডা লাখধির বলেন, ‘অং সান সু চি ও এনএলডি একটি নতুন মিয়ানমারের অঙ্গীকার করেছিল। তবে সরকার এখনও শান্তিপূর্ণ বক্তব্য দানকারী ও বিক্ষোভকারীদেরকে বিচারের মুখোমুখি করে যাচ্ছে। পুরনো দমনমূলক আইন পরিবর্তনেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার।’ স্থানীয় মুক্ত মতের অধিকার আদায়ের সংগঠন আথান-এর তথ্য অনুযায়ী, এনএলডি সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর এ পর্যন্ত ৪৩ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রয়টার্স, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ