Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র দাবি : তাফসিলের আগেই বাস্তবায়ন চান বামরা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪১ এএম

 ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে হলের বাইরে ভোট কেন্দ্র করার দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল জোট। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের স্বার্থেই হলে ভোটকেন্দ্র দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন জোটের নেতারা। তাই তাদের দাবি তাফসিলের আগেই বাস্তবায়ন চেয়েছেন তারা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধির বিষয়ে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি। এসময় তারা ডাকসু ও হল সংসদের ফি প্রদানকারী সব শিক্ষার্থীর ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে। পরে জোটের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করা হয়। মিছিলটি ডাকসুর সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপতি দাবি আদায়ে রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার। সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গত ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বৈঠকে যেভাবে ছাত্রসংগঠনগুলোর মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ডাকসু ও হল সংসদের ফি যারা দেন, তাদের ভোটার ও প্রার্থী করার বিধান না রেখে অত্যন্ত অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়সসীমা ৩০ বছর নির্ধারিত হয়েছে। অধিকাংশ ছাত্রসংগঠনের দাবি সত্তে¡ও ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে না করে হলগুলোতেই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে ছাত্রলীগের একচ্ছত্র দখলদারি কায়েম রয়েছে, যা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অন্তরায়
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ডাকসু নির্বাচনের জন্য সর্বপ্রথম ক্যাম্পাসে ও হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিন্তু সহাবস্থান নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জি এম জিলানী শুভ, সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমরান হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডাকসু

৩ নভেম্বর, ২০২১
১৪ মার্চ, ২০২০
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ