Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভবন ও শিক্ষক আছে শিক্ষার্থী নেই

লোহাগাড়ার সড়াইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে তাজ উদ্দীন | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১১ এএম

লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় লোহাগাড়া সড়াইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি বড় বড় দুটি ভবন থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা নগন্য। নলুয়ার বিল, পানিস্যা বিল, বার তালুক, কুইলা কাটা, বাগডেবা, কিল্লা খোলা গ্রামগুলোর মাঝখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্কুলটি। তিন দিকে খালবেষ্টিত এই স্কুলে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত লেখাপড়ার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ১৫০ জন। তাও শুস্ক মৌসুম বলে। বর্ষায় কোন শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারে না। স্কুলের শিক্ষক বা জনপ্রতিনিধির চেষ্টার কোন শেষ নেই বা আগ্রহের কমতি নেই অভিভাবকদের। শুধুমাত্র খালের পানির কারনে প্রাইমারি শিক্ষাটাও পাচ্ছে না হতদরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নেয়া সন্তানরা। স্কুলের তিন দিকে বেষ্টিত খাল দুটিই খরস্রোতা। গত বছরও বর্ষায় তৃতীয় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী পানিতে ভেসে গিয়েছিল। পরে এলাবাসী অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। স্কুলের দক্ষিন-পশ্চিমে ডলু ও উত্তরে পোলো খাল। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ ইউনুচ বলেন, এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে অনেক দেনদরবার করে পি আইও থেকে গত বছর এই খালের উপর ৫৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ নিয়ে একটি সেতু টেন্ডার করাতে সক্ষম হই। কিন্তু বরাদ্দ কম হওয়ায় ব্রীজের কাজ আর হযনি। তিনি দাবি করেন, এই খালের ওপর একটি সেতু হলে অবহেলিত এই গ্রামটির উন্নয়নের পাশাপাশি সড়াইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মডেল স্কুলে পরিনত হবে।

প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ বলেন, এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষক। তবুও অবসরে আমরা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলগামী করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। শুস্ক মৌসুমে কোনমতে তারা আসত পারে কিন্তু বর্ষায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার চিন্তায় করতে পারে না। তিনি বলেন, একটি সেতু হলে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ থেকে ৫ শত জন হবে।

স্থানীয় কৃষক আবুল কালাম, আব্দুল মোনাফ, মাহবুব আলমসহ অনেকেই বলেন, স্কুলের শিক্ষকগন প্রায়ই সন্ধ্যায় দোকানে বা বাড়িতে বাড়িতে এসে আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর জন্য তাগিদ দিয়ে থাকেন। কিন্তু খালের পানিতে ভেসে যাবার ভয়ে আমরা আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষক আছে শিক্ষার্থী নেই
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ