রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পরবর্তী স্বাক্ষ্য গ্রহণ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে পৌনে ১১টার টাঙ্গাইল বিচারিক আদালতে আনা হয়। পরে ১১টা ১০ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার সাক্ষী ফারুক হোসেন মানিক ও বারেকের সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য হাজিরা প্রদান করে এবং তাদের স্বাক্ষ্য শেষ করে। পরে মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা ১১টা ৪০ মিনিটে এই দুইজন স্বাক্ষীর জেরা সমাপ্ত করে। পরে বিচারক আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার অনান্য স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করেন। এই দুই স্বাক্ষীসহ আদালতে মোট ১৩জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হলো।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদির স্বাক্ষ্য গ্রণের মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।