Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযোদ্ধাকে কটুক্তি করায় জবি শিক্ষকের শাস্তি দাবি

জবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৩৫ পিএম

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দোলন রায়ের শাস্তি ও অবাঞ্ছিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চেতনাধারী শিক্ষক ও ছাত্রসমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের দুই গ্রুপ চরম বিবাদে জড়ায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. আনোয়ারা বেগম সম্প্রতি নীল দলের দুই গ্রুপের কোন্দলের প্রতিবাদ করেন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যালঘু শিক্ষকদের দায়ী করেন তিনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দোলন রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করে পোস্ট দেন। ড.দোলন রায়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু দেয়া হল, ‘মাইনরিটি নিয়ে যে সব তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধারা (!) নানা কুরুচিমূলক কথা বলেছেন তাদের বলছি সাবধান হয়ে যান। সময় আছে এখনো। মুক্তিযুদ্ধে হাতে কি ছিল বাশ না লাঠি ? কি নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন ?? ওই নাম বিক্রি করে অযোগ্য হয়েও সব সুবিধা নিয়েছেন !! আর কত !!

এই পোস্টের প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাবেক পিএসসি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড.এস এম আনোয়ারা বেগম আমাদের জাতির গর্ব। ১৯৭১ সালে ড.আনোয়ারা ও তার বোন মনোয়ারা বেগম পটুয়াখালী জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। ওই সময় তারা দুই বোন ও বড় ভাই আবদুর রশিদ মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়ায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তার মাকে ধরে নিয়ে যায়।
কিন্তু স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে বর্তমান সরকারের আমলে কিছু সুবিধাবাদী শ্রেণী নিজেদের আওয়ামীলীগের বড় নেতা হিসাবে জাহির করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জানুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচকে কেন্দ্র করে নীল দলের কোন্দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. দোলন রায় মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র নিয়ে বিদ্রূপ করেন। মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড.আনোয়ারা বেগমকে হুমকি দেন।
অধ্যাপক ড.আনোয়ারা বেগম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করা স্বাধীন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে নিয়ে কটুক্তির সমান। আমি এর বিচার চাই। আমি ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এর সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড.কাজী সাইফুদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারিক হোসেন খান, নঈম আকতার সিদ্দিক, নুরজাহান, লামিয়া ইসলাম, নূরানাসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ