Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের ‘নসর’ ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ে শঙ্কিত ভারতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪৫ পিএম

পশ্চিমের প্রতিবেশি দেশটিতে দ্রুত, প্রচলিত ধরনের হামলার জন্য ‘ইন্টিগ্রেটেড ব্যাটল গ্রুপের’ (আইবিজি) আইডিয়া প্রণয়ন করতে আগ্রহী ভারতীয় সেনাপ্রধানকে হতাশ করেছে পাকিস্তানের সফলভাবে স্বল্প পাল্লার পরমাণু-সক্ষম নসর ক্ষেপণাস্ত্রের ‘প্রশিক্ষণ উৎক্ষেপণ’।
নসর উৎক্ষেপণ ভারতীয় কমান্ডারদের আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে। আইবিজি হলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা। অপারেশন পারাকরাম (২০০১-২০০২)-এর ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছিল।
ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য নসরের পাল্লা ৬০ কিলোমিটার। ভারতীয় সেনাপ্রধানের আইবিজি আইডিয়াটি নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রেক্ষাপটে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ বিস্ময়ের কোনো বিষয় নয়। জেনারেল বিপিন এখন ওই আইডিয়া সামনে নিয়ে আসছেন। তিনি বলছেন, আইবিজি ওয়ার-গেম এবং গত মে মাসে এটিকে বাস্তবে পরীক্ষা করা হয়েছিল।
ভারতের একটি সংবাদপত্র দাবি করেছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা উভয়ে চায়, তাদের প্রিয় যুদ্ধকৌশলে নিয়োজিত হতে। ভারত প্রচলিত যুদ্ধে শ্রেষ্ঠ। তাই তারা পাকিস্তানের সাথে প্রচলিত যুদ্ধে লড়াই করতে চায়। আর পাকিস্তান চায় অপ্রচলিত যুদ্ধে লড়াই করতে। এখানে তারা পরমাণু অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা ভারতের যুদ্ধ কৌশল পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রণীত কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনটি আসলে সীমিত পরিসরের প্রচলিত যুদ্ধ। এই ডকট্রিন অনুযায়ী, প্রচলিত যুদ্ধে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে না।
ভারত সরকার এই ডকট্রিনের অস্তিত্বের কথা কখনো স্বীকার করেনি। তবে তারা এখন বুঝতে পারছে, নসরের মতো স্বল্প পাল্লার পরমাণু অস্ত্রগুলো ভারতীয় ফরমেশনে আঘাত করে ওই পরিকল্পনা কার্যকরে বাধার সৃষ্টি করবে। ২৬/১১-এর প্রতি ভারতের নিরবতা প্রমাণ করে কোল্ড স্টার্ট হয় কার্যকর করার মতো নয় কিংবা ভারতীয় বাহিনী সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে এ ধরনের হামলা চালানোর মতো আত্মবিশ্বাসী নয়।
জেনারেল রাওয়াত এখন নতুন একটি আইডিয়া সামনে এনেছেন। তিনি বলছেন, আইবিজি খুবই কার্যকর হবে। এতে কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনকে বিশ্বাসযোগ্য মাত্রায় উপনীত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই পাকিস্তান নসর নিয়ে এসেছে। এটি শত্রুর মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করবে। যত দিন ভারতীয় নেতারা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ভয় পাবে, তত দিন এর কার্যকারিতা থাকবে।
এদিকে ভারতীয় সেনাপ্রধান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার পদটি বিলুপ্ত করা হবে। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্নেলদের সরাসরি মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

Show all comments
  • Md.Ruhul Amin ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০২ পিএম says : 0
    দুনিয়াতে যে পরিমান মুদ্রা অস্র বানাতে ব্যয় হয় তা দিয়ে মানব কল্যান করলে কত না ভালো হত ।
    Total Reply(0) Reply
  • আজিজুর রহমান ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:০৪ পিএম says : 0
    যদি উভয়দেশ কাশ্মীর কে আযাদী দিত,তাহলে এরাই হতে পারতো বিশ্বের অতি উন্নত রাষ্ট্র।ব্রিটিশদের ডিভাইডেড এন্ড রুলসের দ্রুত পরিসমাপ্তির প্রয়োজন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shaiful islam ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:২৯ পিএম says : 0
    যেভাবেই হোক কাশ্মীরের একটা সঠিক সমাধান হওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ