Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রচলিত ইসলামী রাজনীতির বেহাল অবস্থা

উবায়দুর রহমান খান নদভী | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ইসলামী রাজনীতি নতুন নয়। মুসলিম শাসনামলে গণতান্ত্রিক রাজনীতি ছিল না। সেখানে রাষ্ট্র বা সরকারের বিরোধীতা করার সুযোগও ছিল না। ছিল দীনি রাজনীতি করার অবারিত সুযোগ। যাতে মানুষ ও সমাজ পরিবর্তন সম্ভব। প্রতিষ্ঠিত মুসলিম সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখলের কোনো নিয়ম বা প্রচেষ্টা মুসলিম বিধানে অনুমোদিত নয়। গঠনমূলক সমালোচনা সবসময় ছিল। ছিল শাসকদের জন্য দিক নির্দেশনা। সরকার বা ব্যবস্থপনার বিরোধীতাকে সহজেই বিদ্রোহ গণ্য করা হতো। যার শরীয়তসম্মত সাজা ছিল প্রাণদন্ড।
গণতন্ত্রে বিরোধী রাজনীতির ধারণা আছে। আছে জনগণের মতামত নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ। ইসলামে দীনি কাজের পদ্ধতি, বিশাল গভীর রাজনীতির প্রকৃত রূপ। যা সাময়িক দখল বা নিয়ন্ত্রন নয়, চিরস্থায়ী বিপ্লব ও পরিবর্তন। যে ধরণের রাজনীতি করেছেন এদেশে আগত লাখো পীর আউলিয়া ও সুফী দরবেশ। মুঘল বাদশাহ আকবরের ভ্রান্ত মতবাদ দীনে ইলাহির বিরুদ্ধে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী আহমদ সরহিন্দির আন্দোলনের ধরন ছিল ঠিক এমনই। বাংলাদেশে হাজার বছরের উলামা মাশায়েখ ও ইসলামী আন্দোলনকারীদের কাজের উদ্দেশ্য যেমন ছিল মানুষ তৈরি ও সমাজগঠন। পাশ্চাত্য গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও নীতিচ্যুত লোভী রাজনীতিকদের কারণে আজ আদর্শের রাজনীতিও প্রায় সমান কলুষিত। ক্ষেত্র বিশেষে অধিক অধঃপতিত, সুবিধাবঞ্চিত তো বটেই।
বাংলাদেশ শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ। যদিও দীনি শিক্ষার অভাবে এ দেশের নেতৃত্ব ইসলামী ব্যবস্থার সাথে পরিচিত নয়। ইসলামপন্থীরাও সুন্নাহর আসল স্বরূপ নিয়ে অগ্রসর নয়। উলামায়ে কেরাম অনেকেই ইলম থাকা সত্তে¡ও রাষ্ট্র ও সমাজের ব্যাপারে সচেতন নন। যারা সচেতন আছেন, পরিবেশগত কারণে তাদের অনেকেই রাজনীতিতে আসেন না। তা ছাড়া রাজনীতির ধারণাও এ দেশে ভ্রান্তিতে পূর্ণ। দীনি বা নববী সিয়াসত আর প্রচলিত রাজনীতি যেহেতু এক নয়, সুতরাং অসংখ্য উলামায়ে কেরাম রাজনীতি-সচেতন ও যোগ্য হওয়া সত্তে¡ও প্রচলিত রাজনীতিতে আসেন না। অজ্ঞ লোকেরা তাদের অরাজনৈতিক মনে করলেও আসলে তারা একটি ব্যাপক গভীর ও অর্থবহ রাজনীতিতেই আছেন। এটিই শরীয়তী রাজনীতি। সুতরাং কোনো আলেম রাজনীতি করেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি না।
আপনি যদি কোরআন-সুন্নাহ ও সীরাত মুতালাআ করেন, তা হলে পলিটিক্স খুঁজে পাবেন না। যার অর্থ রাজনীতি। আপনি পাবেন কালেমার দাওয়াত, কিতাবুল্লাহর তিলাওয়াত, তালীম, তাযকিয়া, তরবিয়ত ও জিহাদ। এসব কি রাজনীতি নয়? নাগরিক তৈরি, পরিবার ও সমাজ গঠন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, আমিরকে মানা, সংগঠিত থাকা, এ সবই তো সফল রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য। মানুষের চিন্তা-চেতনা, ইবাদত-বন্দেগী, আর্থ-সামাজিক লেনদেন ও পারস্পরিক মানবিক নৈতিক সম্পর্ক এবং আত্মশুদ্ধিসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের সংস্কার ইত্যাদি সবই ওপরে বর্ণিত কর্মসূচির মধ্যে শতভাগ নিহিত আছে।
হাজার বছর মুসলিম শাসনের অনুগত থেকে, বিরোধী রাজনীতি না করে, সুফী-দরবেশ, আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখগন যে দীনি রাজনীতি বা আন্দোলন করেছেন, তার ফলেই ২৫০ বছর যাবত ইসলামী শাসন না থাকলেও এদেশের মানুষের মনে ও আচরণে যে ধর্মীয় ভাবধারা আছে তা সে রাজনীতিরই ফসল। বর্তমানেও সব ইসলাম প্রচারক যদি নববী রাজনীতি করেন, তাহলে তারা দুনিয়ার ফেতনায় পড়বেন না, দৃশ্যতও হবে তাদের আদর্শের বিজয়। মানুষ তৈরি ও সমাজগঠন তাদের মূল লক্ষ্য। এ মানুষ ও সমাজ শাসকদের উপর গভীর প্রভাব রাখে। শাসক যেই হোন, তিনি যেন সমাজের শক্তিকে মানতে বাধ্য হন। এটিই ইসলামী রাজনীতি।
যেমন বর্তমান শাসকরাও ধর্মীয় অঙ্গনের সাথে সুসম্পর্ক ও সমঝোতার প্রয়োজন মনে করেন। কেননা, ইসলামী অঙ্গন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। প্রায় ৮ কোটি মানুষ বছরের ৫২ জুমায় দেশের সাড়ে ৪ লাখ মসজিদে শুধু জুমার দিনেই আল্লাহকে সেজদা করেন এবং অন্তত দেড় ঘন্টা তারা মনোযোগ দিয়ে দীনের কথা শোনেন। গণসংযোগের এত ব্যাপক সার্কেল ধর্মীয় অঙ্গন ছাড়া আর কারও হাতে নেই। এরা প্রচলিত রাজনীতিতে, বাতিল প্রায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে না এসে যদি অতীত মুরব্বীদের দাওয়াত ও ইসলাহের পদ্ধতি ধরে রাখেন, তাহলে তারাই হবেন সফল রাজনীতিক। যে রাজনীতি হাজার বছর ধরে বাংলাকে বিশ্ব খেলাফতের অংগ হিসাবে আলোকিত করে রেখেছে। শাসকরা বদলে গেছে কিন্তু ঈমান ও ইসলামের প্রভাব পরিবর্তিত হয়নি। মানুষ ও সমাজ শরীয়তের উদ্দীপনাই ধরে রেখেছে। ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি মানুষের দেহ মনে প্রিন্ট হয়ে আছে। সামান্য যত্মেই তা ফুলে ফলে সু শোভিত হয়ে উঠতে পারে।
নগর-সভ্যতা বা নাগরিক রাষ্ট্র যখন বৃহৎ ভূগোল নিয়ে বিশ্বময় একটি কল্যাণ-রাষ্ট্রের রূপ পরিগ্রহ করে ইসলামে তখনো এটিকে দুনিয়াদারী বলে গণ্য করা হয় না। যদিও দুনিয়াদাররা তাদের পরিভাষায় একে পরাশক্তি, সাম্রাজ্য কিংবা বৃহৎ বাদশাহী আখ্যায়িত করে। যুগে যুগে যেসব মামলাকাত, সালতানাত, হুকুমাত ইত্যাদি নাম গ্রহণ করে একধরনের রাজকীয় ধারণা নির্মাণ করেছে। কিন্তু আসলে ‘খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ’ নামের বৈশ্বিক রাষ্ট্রব্যবস্থাটি মসজিদে নববীর সামগ্রিক কর্মসূচিরই একটি ফলিত বাস্তবায়ন মাত্র। শরীয়তে যাকে ইমামতে সুগরা ও ইমমাতে কুবরা বলা হয়।
এ খিলাফত-পদ্ধতির রাজনীতি যখন একটি জনপদের সবচেয়ে বড় বুযুর্গ ও আহলে ইলমগণ ইমারতের আওতায় জামাতবদ্ধ হয়ে সুচিন্তিতভাবে পরিচালনা করেন, সাথে শক্তি ও অর্থনীতি যোগ হয়, নানা শ্রেণি ও পেশার সমমনা বিশেষজ্ঞরা এতে সন্নিহিত হন তখন ইমাম বা আমীর একটি মুসলিম জনপদকে দীনের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখার ওপর চালানোর উদ্যোগ গ্রহণ করার নামই খিলাফত। পশ্চিমা ধারণার ফলে, দীর্ঘদিন খেলাফত না থাকার ফলে, জনগণ পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ফলে, অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য ও অল্প শিক্ষিত আলেমগণ প্রচলিত রাজনীতিতে আসার ফলে মুসলিম সমাজেও দীন, সিয়াসত ও ইমারতের ধারণা ধূলিধূসরিত হয়ে যায়।
দীর্ঘ ১৩ শ বছর মোটামুটি একটি কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলায় মুসলিমবিশ্ব পরিচালিত হয়। কখনো নিষ্কলুষ খিলাফত (খিলাফতে রাশেদা) কখনো কোনো শাসকবংশ, কখনো কোনো নতুন শাসকগোষ্ঠী কেন্দ্রীয়ভাবে মুসলমানদের পরিচালনা করে। কেন্দ্র দুর্বল হয়ে পড়লে আঞ্চলিকভাবে কেন্দ্রকে স্বীকার করেও অনেক সৎ ও যোগ্য শাসক খেলাফতে রাশেদার আলোকে বিশাল বিশাল রাজ্য পরিচালনা করেন।
কোরআন-সুন্নাহর মূলনীতির ওপর এসব আমীর বা শাসক ব্যক্তিগত রুচি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বর্ণিল চরিত্রের থাকলেও তাদের বিচার ও প্রশাসন ছিল শত ভাগ ফিকাহ ও ফতোয়ার আলোকে পরিচালিত। শত শত আঞ্চলিক শাসকের নাম মুসলমানের ইতিহাসে এমন পাওয়া যাবে, যাদের প্রত্যেকেরই শাসনব্যবস্থা আধুনিক পশ্চিমা রাষ্ট্রব্যবস্থার সবগুলো থেকে হাজার গুণ সফল ও উত্তম। ন্যায়বিচার, সুশাসন ও নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে এসব শাসক আরও হাজার বছর বিশ্ববাসীর অনুসরণীয় ও পাঠ্য।
বৃটিশ যুগে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনই ছিল রাজনীতি। ছিল জিহাদ, দাওয়াত, তা’লীম ও ইসলাহের সংগ্রাম। পাকিস্তান আমলে গণতান্ত্রিক কারণে ইসলামী রাজনীতিও প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াগত হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার পর ইসলামী রাজনীতিকদের একাংশ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হওয়ায় তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়। ্এরপর গণতান্ত্রিক রাজনীতির ব্যর্থতায় দিনে দিনে সমাজের বিরাট অংশ রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়ে। বৃহত্তর ইসলামী কর্মকান্ড যারা চালাচ্ছেন, তাদের রাজনীতি কখনও বন্ধ হয় না।
তবে, প্রথাগত রাজনীতিতে ৪৭ পরবর্তি বড় ইসলামী দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজাম ইসলাম পার্টি দেশের তৃতীয় পরে দ্বিতীয় বৃহৎ শক্তিতে পরিণত হয়। ৭১ এর পর বড় ইসলামী দল ছিল হাফেজ্জী হুজুরের খেলাফত আন্দোলন। যার নেতারাই বর্তমান অধিকাংশ ইসলামী দলের নেতা। প্রথমে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন চরমোনাই মরহুম পীর ও ব্যারিষ্টার কোরবান আলী নেতৃত্ব দেন। কোরবান আলী আলাদা হয়ে গঠন করেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলন। বর্তমানে শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এটি নিছক রাজনৈতিক দল নয়। বৃহৎ ইসলামী কার্যক্রমও এর আরধ্য।
খেলাফত আন্দোলন একাধিক, খেলাফত মজলিস একাধিক, নেজাম ইসলাম একাধিক, ইসলামী ঐক্যজোট একাধিক, জমিয়ত একাধিক আকারে রাজনীতি করছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতির নতুন হিসাব নিকাশে সাধারণ সব দলের যে অবস্থা, ইসলামী সংগঠনগুলোর অবস্থাও এর ব্যাতিক্রম নয়। তবে, ইসলামী কর্মতৎপরতা অতীত যেমন নির্মোহ ও নিষ্কলুষ চলমান রাজনীতির ধারা মোটেও তেমন নয়। এ ক্ষেত্রে কিছু চাপ, কিছু ক্ষমতা ও অর্থের লোভ, অনেক নীতিভ্রষ্ট মানুষকে কুপোকাৎ করেছে। যেজন্য ইসলামী রাজনীতি অনেক ক্ষেত্রেই অযোগ্যদের হাতে পড়েছে বলে দেশের মানুষ মনে করেন। আস্থার দারুণ অভাব ও শ্রদ্ধাবোধও ঘাটতির দিকে চলে যায়।
কিছু টাউট প্রকৃতির লোক নিজেদের ইসলামী রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় মেতে উঠে। দেশী বিদেশী এজেন্সি ইসলামী রাজনীতির ভবিষ্যত সম্ভাবনা নষ্ট করে দেওয়ার জন্য বহু নেতাকে ব্যবহার করে। জনপ্রিয় ও উদিয়মান অনেক চরিত্রকে নানাভাবে কলুষিত করে। খুব সতর্ক ও প্রকৃতই পরহেজগার নেতা কর্মী ছাড়া বিপুল পরিমাণ রাজনীতিক দিকভ্রষ্ট হন। সংসদে আসন পাওয়ার স্বপ্ন ও কিছু নগদ নারায়ণের লোভ, প্রচুর আলেম নামধারী রাজনীতিককে বিগত সময় তিলে তিলে বরবাদ করে দিয়েছে। তারা বামদের মত সামান্য মন্ত্রীত্ব বা সংসদে যাওয়ার সুযোগও পাননি। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট না পেয়ে তাদের অনেকই খুব সামান্য পকেটমানির বিনিময়ে নিজেদের অবস্থান, অস্তিত্ব, ব্যক্তিত্ব, কণ্ঠস্বর সবই হারিয়ে ফেলেছেন। ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি যে কাজটি শত চেষ্টা করেও অতীত যুগের আলেম রাজনীতিকদের মধ্যে ঢুকাতে পারেনি। এবার তা সফল হল।
যারা রাজনীতির সুবাদে দীনি অঙ্গনের কণ্ঠস্বর ছিলেন, তাওহীদি জনতার প্রতিবাদের প্রতিক ছিলেন, তারাও রহস্যজনক দুর্বলতায় ঢাকা পড়ে যান। কণ্ঠ তাদের স্থিমিত হয়ে যায়। যা বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতির ধারার জন্য স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। কৌশলগত কিছু কারণে ছন্দপতনের শিকার হলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইস্যুভিত্তিক বক্তব্য ও বিবৃতি চালিয়ে যাওয়ায় তারা রাজনীতির অঙ্গনে নিজেদের সরব উপস্থিতি ধরে রেখেছে।
কিছু দল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার ঘেঁষা হয়ে থেকেও কোনো মূল্যায়ন কিংবা ক্ষমতার ভাগ না পেয়ে বামদের চেয়েও বেশি নিগৃহের শিকার। এরফলে বস্তুগত ক্ষতির পাশাপাশি তারা আদর্শিক ঝুঁকিরও মুখোমুখি। মাঠের বিরোধী দলের সাথে থাকা ইসলামী দলগুলো শাসকদের নতুন কৌশলের ধরাশায়ী অংশের সহযাত্রী হিসাবে নিজেরাও সমান ক্ষতিগ্রস্থ। স্বতন্ত্র আদর্শিক অবস্থান ও সম্ভাব্য বৃহৎ ঐক্যের দিশা না পেয়ে দুই মেরুতে চলে যাওয়া প্রচলিত ইসলামী রাজনীতি এখন চরম ধ্বসের মুখে। এসময় ইসলামী রাজনীতিকে তার আদর্শিক ও ঐতিহ্যগত ধারায় ফিরে যাওয়ার কোনো বিকল্প দেখছেন না ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ। ঐক্যও তাদের জন্য অপরিহার্য।



 

Show all comments
  • Humaira Tabassum Himi ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:০১ এএম says : 0
    বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে ইসলামি দলগুলোর সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৯১-এর নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ১৮টি আসন পাওয়া। তারও আগে, ১৯৮৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের দ্বিতীয় স্থান লাভও একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। হাফেজ্জী হুজুর এখন আর বেঁচে নেই। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীও এখন আর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Kawser Ahammed ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৫ এএম says : 0
    ঐক্যবদ্ধভাবে জীবনযাপন করা মুমিনের অপরিহার্য কর্তব্য। ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব অপরিসীম। সংঘবদ্ধভাবে জীবন পরিচালনা করা ইসলামের নির্দেশনা। এ সর্ম্পকে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমারা আল্লাহর রজ্জুকে (ইসলাম) আঁকড়ে ধর (ঐক্যবদ্ধ হও) এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ -সূরা আল ইমরান: ১০৩
    Total Reply(0) Reply
  • Naim Hossain ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৬ এএম says : 0
    ইসলামের দৃষ্টিতে বিভিন্ন গ্রুপ ও সরকারের মধ্যে বিরোধের প্রধান কারণ হচ্ছে চিন্তাগত বিভ্রান্তি ও আত্মকেন্দ্রিকতা। পবিত্র কুরআন বলে : ‘এবং তোমাদের এই যে জাতি,এতো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক;অতএব,আমাকে ভয় কর। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দীনকে বহুধাবিভক্ত করেছে;প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’- আল-মুমিনুন : ৫২-৫৩
    Total Reply(0) Reply
  • chanchal ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৮ এএম says : 0
    বিভিন্ন ইসলামী সম্প্রদায় ও গ্রুপের মধ্যে সাযুজ্যপূর্ণ ও সাধারণ বিষয়গুলো মনে রেখে ভাবতে হবে যে,সকল মুসলমানের স্রষ্টা আল্লাহ এক,তাদের নবী এক,তাদের কুরআন এক। ইজতিহাদ ও স্বাধীন চিন্তার স্বাভাবিক ফলশ্রুতিতে সৃষ্ট বিভিন্ন ধ্যান-ধারণা ও রীতিনীতি মুসলমানদেরকে মানসিক দিন দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেবে- এটা ঠিক নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Liza Akther ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৯ এএম says : 0
    হজরত রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘মুমিনগণ একজন মানুষের মতো, যার চোখ আক্রান্ত হলে সমস্ত শরীর আক্রান্ত হয়; আর তার মাথা আক্রান্ত হলে সমস্ত শরীর আহত হয়।’ –সহিহ মুসলিম ঐক্য প্রসঙ্গে ইসলামের এমন নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মুসলিম মিল্লাত আজ শতধাবিভক্ত। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা আশা করি, মুসলমানরা বিষয়টি হৃদয় দিয়ে অনুভব করে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • ফজলুল হক ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:১০ এএম says : 0
    অনেক দিন পরে একটা লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। লেখক উবায়দুর রহমান খান নদভী সাহেবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • রাশেদ ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:১২ এএম says : 0
    বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামী দলগুলোর উচিত সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়া।
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:০৭ পিএম says : 0
    Sura Al-Hajj: 22:41::::Those (Muslim rulers) who, if We give them power in the land, (they) order for Iqamat-as-Salat. [i.e. to perform the five-compulsory congregational Salat (prayers) (the males in mosques)], to pay the Zakat and they enjoin Al-Ma'ruf (i.e. Islamic Monotheism and all that Islam orders one to do), and forbid Al-Munkar (i.e. disbelief, polytheism and all that Islam has forbidden) [i.e. they make the Quran as the law of their country in all the spheres of life]. The end of all matters rests with Allah
    Total Reply(0) Reply
  • amir ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:১২ পিএম says : 0
    জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত মানব জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইন-বিধান সম্বলিত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা 'ইসলাম' সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহরই নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত শান্তিপুর্ণ পদ্ধতিতে “ঈমান ও ইসলাম এর দাওয়াতের মাধ্যমে” ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠনে-একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, তাঁরই আইন-বিধানের আনুগত্য এবং তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শর্তহীন অনুসরণ-অনুকরণের ভিত্তিতে- গঠিত ও পরিচালিত দাওয়াতী সংগঠন ও আন্দোলনই “ইসলামী সমাজ”।
    Total Reply(0) Reply
  • amir ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:১৫ পিএম says : 0
    ইসলামী সমাজ–এর আদর্শ মানুষের জীবনের সকল দিক ও বিভাগ গঠন ও পরিচালনায় চিন্তা, চেতনা ও বিশ্বাস পরিশুদ্ধ করণে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ইসলাম-এর নীতিমালাই একমাত্র আদর্শ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত্ব আদ্বীন-একমাত্র জীবন বিধান-ইসলাম-ই ইসলামী সমাজ-এর আদর্শ। ইসলাম সংকীর্ণ অর্থে কোন ধর্ম নয়, বরং এটা মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত্ব সকল মানুষের জন্য কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন বিধান। মানব জীবনের সকল প্রকার কলুষতা, স্বার্থপরতা, অনৈতিকতা, মিথ্যাচারিতা, বিশ্বাসঘাতকতা, জুলুম, শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতন, বর্বরতা, সকল প্রকার অমানবিকতা দূর করে চিন্তা, চেতনা ও বাস্তব জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধন করাই এর লক্ষ্য। ইসলাম– এ পরিবর্তন সাধন করে মানুষের ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, সাংস্কৃতিক জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে ও অর্থনৈতিক জীবনে- এক কথায় মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগে। ইসলাম মূলতঃ মানব জীবনের সার্বিক কল্যাণ মূলক ব্যবস্থা। গোটা মানব জীবনের কল্যাণ সাধন করাই এর মূল লক্ষ্য। দুনিয়ায় মানুষের কল্যাণ এবং আখিরাতে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র সনদ ইসলাম-ই আল্লাহর মনোনীত জীবন বিধান। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ফরমান- “নিশ্চয়ই আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবন বিধান ইসলাম” (সুরা আলে ইমরান:১৯)। ইসলাম শব্দের অর্থ হচ্ছে- আত্মসমর্পণ করা অর্থাৎ বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করা। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট আত্মসমর্পণের মধ্যেই নিহীত আছে মানুষের কল্যাণ ও মুক্তি।
    Total Reply(0) Reply
  • Alam Khan ২৫ জুন, ২০২১, ৪:৫৫ পিএম says : 0
    রাজনীতি হচ্ছে তাষ্ট্র ক্ষমতা দখল কয়রা কিংবা ধরে রাকার কৌশল। ইসলামি রাজিনীতি বল ইসলামে তেমন কিছুই পাওয়া যায় না। উল্টো ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে গোলাম ক্ষমতায় থাকলেও তার বিরুদ্ধাচরণ করা যাবে না। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে - চেয়ে ক্ষমতা নেয়া যাবে না। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক আল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ