মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আসামের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য অন্যান্য সরঞ্জামের পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহার করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আসামের গভর্নর জগদীস মুখি রাজ্যটিতে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপের উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আসামে অবৈধ বিদেশীদের কোনো স্থান নেই। এই রাজ্য ও এর সম্পদ কেবল আদিবাসীদের জন্যই সংরক্ষিত।
ভারতের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, নানা ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ভারত-বাংলাদেশ পুরো সীমান্তে বেড়া দেয়া সম্ভব না হওয়ায় আসামের প্রায় ৬১ কিলোমিটার এলাকা বেড়াহীন রাখা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নদী, হাতির চলাচল পথ, ভূমিধস, বাংলাদেশের আপত্তির কারণে সব এলাকায় বেড়া দেয়া সম্ভব নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, ৪৮ কিলোমিটার এলাকায় কোনো ধরনের বস্তুগত প্রতিবন্ধকতা নেই।
সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) এখন এই অরক্ষিত সীমান্ত নিরাপদ রাখার জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান বন্ধ করার জন্য স্মার্ট ফেন্সিংয়ের চিন্তাভাবনাও করছে তারা। সীমান্ত নিরাপত্তায় আগে থেকেই নাইট ভিশন গগলস, অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ, সার্চ লাইট, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টর, হাতে ধরা থার্মাল ইমেজার ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখন থেকে ড্রোনও ব্যবহার করা হতে পারে। ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে থাকা সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর শক্তি বাড়ানোর কথাও ভাবছে। বাংলাদেশ-সংলগ্ন রাজ্যেগুলোর মুখ্যসচিবদের নিয়ে গঠিত স্থায়ী কমিটি সীমান্ত রক্ষা গ্রিড পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বর্তমানে সীমান্তের ৯ শতাধিক চৌকিতে ৮১টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন রয়েছে। এখন বিএসএফের শক্তি আরো বাড়ানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। অধিকন্তু বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ সদস্যদেরকে স্থানীয় লোকজনের প্রতি স্পর্শকাতরতা প্রদর্শন করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশ বন্ধে স্থানীয় লোকজন ও এনজিওগুলোর সহায়তা গ্রহণের জন্যও তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেশগত অবস্থানের কারণে আসাম ও বাংলাদেশের মধ্যকার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে আছে বলে উল্লেখ করে বলা হয়, জিরো লাইনে ঘন বসতিও একটি বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী লোকজনের জাতিগত বৈশিষ্ট্য একই ধরনের হওয়ায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সুযোগটি গ্রহণ করে বলেও নিরাপত্তা বাহিনী উল্লেখ করেছে। অধিকন্তু, ১৯৭৪ সালে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তার আলোকে বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে জিরো লাইন থেকে ১৫০ গজ দূরে। কোনো কোনো স্থানে এমন দূরত্বেও বেড়া নির্মাণ করা সম্ভব নয়। সূত্র: দ্য এশিয়ান এজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।