পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কসরে হাদী খানকার শায়খ শাহ সুফি সৈয়দ আ. হান্নান আল হাদী বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব মুসলিমের প্রধান শত্রু বিধর্মীরা। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইহুদি-খ্রিস্টান-নাস্তিকদের উত্থান হয়। গত ২০ বছরে নতুন উত্থান হয় বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের। ইহুদি-খ্রিস্টানরা মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তানে সর্বাত্বক যুদ্ধ ঘোষণা করে ঐ দেশগুলো দখল করে নিয়ে প্রায় সোয়া কোটি মুসলমান হত্যা করেছে। বিধর্মীরা এসব দেশের শহর-বন্দর-বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ধ্বংস স্তূপে পরিণত করে। প্রায় ১২ কোটি মুসলমান গৃহচ্যুত। অস্ত্রের যুদ্ধের মাধ্যমে এদের পরাস্ত করা কঠিন। তাই একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার গায়েবি সাহায্যেই এদের পরাভূত করা সম্ভব। আল্লাহ তায়ালার সাহায্য পাওয়ার উপায় হচ্ছে ইলমে তাসাউফের মাধ্যমে তাঁর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে আল্লাহকে রাজি করিয়ে তাঁর গায়েবি শক্তির সাহায্যে জেহাদ করে বিজয় অর্জন সম্ভব। গতকাল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আরবের মুসলিম দেশগুলোতে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে ওহাবি মতবাদের কারণে ইলমে তাসাউফ উপেক্ষিত। ফলে আরব মুসলিম দেশসমূহে আধ্যাত্মিক চর্চা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তুরস্ক, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশে কিছু আধ্যাত্মিক চর্চা থাকায় এ দেশগুলো এখনও টিকে আছে। কিন্তু বিধর্মীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ অর্থের বিনিময় প্রচার করে আধ্যাত্মিক চর্চা প্রায় তুলে দিয়েছে। তাই আমাদের উচিৎ ইসলামকে বিজয়ী করতে আল্লাহ তায়ালার গায়েবি সাহায্য পেতে বিভিন্ন ইসলামিক দল, সংগঠন ও দেশেরক্ষা বাহিনীর মধ্যে আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ চালু করা এবং হযরত ইমাম মাহাদী না আসা পর্যন্ত এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।