পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) আইন, ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনে জাহাজে ৫০ শতাংশ পণ্য পরিবহনের বিধান রাখা হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯এর খসড়ায় চূড়ান্ত ও নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়া গত চার মাসে মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। এই তিন মাসে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ তা মন্ত্রিসভায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সমুদ্র পথে পরিবাহিত পণ্যের ৪০ শতাংশ পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহনের বিধান ছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্শাল ল আমলের আইনকে বাংলায় রূপান্তর করে নতুন করে করা হচ্ছে। নতুন আইনে সমুদ্রপথে পরিবাহিত পণ্যের ৫০ শতাংশ পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন যেসব জাহাজ পরিচালনা করে সেগুলোতে বাংলাদেশের পতাকা থাকায়এগুলোকে পতাকাবাহী জাহাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশের ৫০টির মত পতাকাবাহী জাহাজ রয়েছে। সমুদ্রপথে ৫০ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহনের বিধানটি বাধ্যতামূলক নয়।
সচিব শফিউল বলেন, যদি পরিবহন করতে না পারে তবে ওয়েবার দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে মূলত সরকারি করপোরেশনকে প্রোমোট করা হবে। কোনো জাহাজ এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। অধ্যাদেশে জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা ছিল না।
সরকারিভাবে বছরে যত পণ্য আমদানি করা হয় তার ৫০ শতাংশ পণ্য পরিবহনের মতো জাহাজ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অবশ্যই প্রথমে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যেসব জাহাজ আছে তা ব্যবহার করতে হবে। এরপরও যদি লাগে তখন প্রয়োজনে অন্য প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ব্যবহার করা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদের শেষ সময়ে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ এর খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হয়েছিল। তবে সেটি আইন হিসেবে পাস করার জন্য যথেষ্ট সময় ছিল না। নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এই আইনটির খসড়ায় চূড়ান্ত ও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে এই আইনটি পাস করার জন্য এখন সংসদে উত্থাপিত হবে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়নের আদলে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনে শ্রমিকদের সমর্থনের হার ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব এর আগে অনুমোদন দেয়। ওই সময় সংসদ অধিবেশন বহাল না থাকায় বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ গত ১৫ জানুয়ারি অধ্যাদেশ আকারে জারি করে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ১০ শতাংশ কমেছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হারের তুলনামূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। তিনি জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের ৪ মাসে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। এই তিন মাসে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। কিন্তু ২০১৭ সালের ওই সময়ে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যা এবছর ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে নয়টি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৮৩টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৬টির, ২৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
অপরদিকে ২০১৭ সালের একই সময়ে আটটি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ৬৮টি। এর মধ্যে ৫৩টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন ছিল ১৫টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শফিউল জানান, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঁচটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সাতটি নীতি বা কর্মকৌশল অনুমোদিত হয়েছে। আর সংসদে পাস হয়েছে ১৯টি আইন। আর ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আটটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি নীতি বা কর্মকৌশল অনুমোদিত হয়েছিল। ওই সময়ে সংসদে তিনটি আইন পাস হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।