Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতাসীনদের মনোনয়ন যুদ্ধ

আবু হেনা মুক্তি : | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

খুলনায় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে চলছে মনোনয়ন যুদ্ধ। দলীয় টিকিট পেতে মরিয়া প্রভাবশালীরা। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতারা সোচ্চার। ৯টি উপজেলায় শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। প্রকৃতিতে বইছে শীতের হাওয়া। তবে শীত-কুয়াশা কাটিয়ে খুলনায় শুরু হয়েছে নির্বাচনী হাওয়া। উপজেলা নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অপরদিকে বিরোধী শিবির বিএনপি নির্বাচনী মাঠেই নেই। এদিকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলেই ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি

খুলনার নয়টি উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উদাহরণ টেনে এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন না তারা। তাহলে শক্ত প্রতিপক্ষ ছাড়াই একপেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিভাগ ভিত্তিক ৫ ধাপে এবারের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ৩ ফেব্রæয়ারি ।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা- দিঘলিয়া, কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, রূপসা, তেরখাদা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল না গেলেও ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করবেন কি না? এমন প্রশ্ন করলে রূপসা উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু ও মোল্লা খায়রুল ইসলাম, তেরখাদার এসএম মেজবাউল আলম ও এফ এম হাবিবুর রহমান, দিঘলিয়ার এম সাইফুর রহমান মিন্ট ও শরীফ মোয়াজ্জেম হোসেন, দাকোপের আবুল খায়ের খান, পাইকগাছার ডাঃ আব্দুল মজিদ, কয়রার এড. মোমরেজুল ইসলাম ও নুরুল আমীন বাবুল সকলেই এক বাক্যে ইনকিলাবকে বলেন ‘না’। তারা বললেন, “এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়।” দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন তারা।

এবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রতীকে হবে উপজেলা নির্বাচন। যে কারণে উপজেলা নির্বাচনের ভোট নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ক্ষমতাসীন দলে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় নব-নির্বাচিত এমপিদের কাছাকাছি ভিড়তে শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিতরা চাচ্ছেন উপজেলায় প্রার্থী হতে। মনোনয়নের দৌড়ে থাকা নেতারা এরই মধ্যে এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে সবার কাছে দোয়া চাইছেন। পুরানো প্রার্থীদের সঙ্গে এবার চারদিকে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৪-৬ জন করে সম্ভাব্য প্রার্থী সরব রয়েছেন।

এছাড়া সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবার ঘোষণা দিলেও খুলনার উপজেলার নির্বাচনী মাঠে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। সদ্য শেষ হওয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনেও খুলনার ৩টি আসনে দলটির প্রার্থী থাকলেও প্রচার প্রচারণা ও ভোটযুদ্ধে মাঠে দেখা যায়নি তাদের।

খুলনার ৯টি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ তিন পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই গণসংযোগ শুরু করছেন। খুলনার ৯ উপজেলা বর্তমান চেয়ারম্যানরা আবারও মনোনয়ন চাইছেন। এর মধ্যে সম্প্রতি ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মারা গেছেন। তিনি বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান ছিলেন।

বটিয়াঘাটায় ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম খান, এড. নব কুমার চক্রবর্তী, এড. নিমাই চন্দ্র রায়, মনোরঞ্জন মÐল, শেখ হাদিউজ্জামান মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের অবস্থান সুদৃড়। রূপসা উপজেলায় আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিৎ অধিকারী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ। দাকোপে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ আবুল হোসেনসহ বেশ কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে।

কয়রায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মো. তমিজ উদ্দিন, ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মো. মহসিন রেজা, কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নাম শোনা যাচ্ছে। ডুমুরিয়ায় ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সারোয়ার, কাজী আলমগীর, সুরঞ্জন বৈদ্য, হুমায়ুন কবির বুলু, মোস্তফা কামাল খোকন, সেলিম আক্তার স্বপন, ও শাহনেওয়াজ জোয়ার্দ্দার।

পাইকগাছায় বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এড. বাবর আলী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এড. প্রশান্ত মÐল ও গুলজার রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে। ফুলতলায় ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আকরাম হোসেনসহ একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ